Wednesday 20 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এক শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে আরেক শিশু আঘাতের শিকার, পরে মৃত্যু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২১ এপ্রিল ২০২১ ২১:০৩

প্রতীকী ছবি

ঢাকা: রাজধানীর খিলক্ষেত মধ্যপাড়া এলাকার রনি মিয়া (১১) নামে এক শিশু আশিয়ান সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। স্বজনদের দাবি প্রতিবেশী এক শিশুকে বাবার মারের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে ওই শিশুটি মারধরের শিকার হয়। পরে সে মারা যায়।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শিশুটির মৃত্যু হয়। এর আগে গত ১৬ এপ্রিল এলাকায় মারধরের শিকার হয় সে।

রনির মামা মো. স্বপন মিয়া বলেন, তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলায়। তার বাবা রায়হান মিয়া ও মা জিয়াসমিন। তারা খিলক্ষেত মধ্যপাড়া খ-৪৪/৩ নম্বর টিনসেড বাসায় ভাড়া থাকতো।

স্বপন মিয়া বলেন, ‘রনি এলাকায় ফেরি করে চা ও মাস্ক বিক্রি করতো। গত ১৬ তারিখ সকালে তাদের পাশের বাসার ফয়েজ নামের এক ব্যক্তি তার সাত/আট বছর বয়সী মেয়েকে মারধর করছিল। এ ঘটনা দেখে রনি ফয়েজ নামের ওই ব্যক্তিকে বাধা দেয় এবং মেয়েটিকে মারতে নিষেধ করে। এতে ফয়েজ ক্ষিপ্ত হয়ে ভারি পুতুলের ভাঙা অংশ দিয়ে রনির পাঁজরে আঘাত করে। পরে রনি বাসায় চলে যায়। এবং বিষয়টি কাউকে জানতে দেয় না। গত পরশু রনির মা তাকে গোসল করানোর সময় শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়। পরে তার কাছে জানতে চাইলে সে ঘটনাটি খুলে বলে।’

স্বপন বলেন, ‘গতকাল সকালে রনি তার মাকে বলে বুকে ব্যথা করছে। পরে গতকাল সন্ধ্যায় খিলক্ষেত আশিয়ান সিটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টায় রনির মৃত্যু হয়।’

খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে খিলক্ষেত মধ্যপাড়া টিনশেড বাসা থেকে রনির মৃতদেহ উদ্ধার করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।’

বিজ্ঞাপন

এসআই আরও বলেন, ‘প্রতিবেশী ফয়েজ মিয়া তার মেয়েকে মারধর করার সময় তাকে বাধা দিলে পুতুলের ভাঙা অংশ দিয়ে রনিকে আঘাত করে। এ কারণে পরবর্তী সময়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’

তিনি জানান, বিস্তারিত তদন্ত চলছে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়ধীন। এছাড়া ঘাতক ফয়েজ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সারাবাংলা/এসএসআর/পিটিএম

আঘাত শিশু হত্যা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর