হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে শাস্তি দাবি
২১ এপ্রিল ২০২১ ১৮:৫০
ঢাকা: হেফাজতে ইসলামের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য সংগঠনটির নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এসব অভিযোগে হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা দায়ের, দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাসদ সভাপতি এ দাবি জানান। এতে তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামের নেতাদের বিরুদ্ধে জ্বালাও-পোড়াও, ভাংচুর-লুটপাট ও আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত সম্পদ ধ্বংসের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এর সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সংবিধানকে অস্বীকার এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতীক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর্যাল ভাঙচুরের সুনির্দিষ্ট অপরাধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও সরকার উৎখাতের অপচেষ্টার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।
বিবৃতিতে হাসানুল হক ইনু বলেন, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ রাষ্ট্র, সংবিধান ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অস্বীকারকারী রাষ্ট্রদ্রোহীদের ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের মতোই কঠিন শাস্তি প্রাপ্য।
বিএনপি, হেফাজতসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ‘সরকার গণহারে আলেম-ওলামাদের গ্রেফতার করছে’ বলে প্রদত্ত বক্তব্যকে সম্পূর্ণ মিথ্যাচার দাবি করে ইনু বলেন, বিএনপি, হেফাজত ও তাদের রাজনৈতিক পার্টনাররা কি দেখাতে পারবে যে দেশের কোনো মসজিদের একজন খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমকে গ্রেফতার করা হয়েছে? দেশের সব মসজিদেই সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য্যবিধি মেনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুমার নামাজ, তারাবির নামাজ আদায় হচ্ছে। হেফাজতি তাণ্ডবি রাজনৈতিক মোল্লারা ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতি করে, ধর্ম নিয়ে ব্যবসায় করে এরা মসজিদে ইমামতিও করে না, মানুষকে ধর্মের শিক্ষাও দেয় না। এরা ধর্মের নামে মাদরাসার নিরীহ ছাত্রদের নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ ও ব্যক্তিগত ভোগে ব্যবহার করে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে যেমন ঐতিহাসিক গণআন্দোলন পরিচালিত হয়েছিল, ঠিক তেমনই রাষ্ট্রদ্রোহী হেফাজতি তাণ্ডবি রাজনৈতিক মোল্লাদের বিচারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য দেশের সব দেশপ্রেমিক, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, মানবতাবাদী রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির প্রতি আহ্বান জানান জাসদ সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী ইনু।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর