‘ভ্যাকসিন বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিলে জনগণ মুনাফার লালসার শিকার হবে’
২১ এপ্রিল ২০২১ ২১:১০
ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন মজুতে সংকটের খবরে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান। ভ্যাকসিন আমদানিকে সরকারি কর্তৃত্বে রাখার পক্ষেও মত দিয়েছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে কেবল ভারতের ওপর নির্ভরশীল না থেকে চীন-রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশ থেকেও ভ্যাকসিন আনার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
খালেকুজ্জামান বলেন, বর্তমান সরকার ভারতকে বন্ধু মনে করে। কিন্তু ভারত যে সবসময়ই বাংলাদেশের জনগণকে জিম্মি করে তাদের স্বার্থ হাসিল করে, তার ভুরি ভুরি প্রমাণ রয়েছে। তাই ভারতের বাইরে অন্য দেশ থেকে ভ্যাকসিন আমদানির উদ্যোগ নিতে হবে।
বুধবার (২১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বেসরকারি ভ্যাকসিন বাণিজ্যের পাঁয়তারা বন্ধের দাবি জানান। বলেন, সব নাগরিকের বিনামূল্যে ভ্যাকসিনপ্রাপ্তি সরকারিভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
বিবৃতিতে খালেকুজ্জামান বলেন, সরকারের অবহেলা ও অদূরদর্শিতার ফলে আজ দেশের মানুষের ভ্যাকসিনপ্রাপ্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। শুরুতে ভারতের চাপে চীনা ভ্যাকসিন ট্রায়াল করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। একাধিক দেশের থেকে ভ্যাকসিন আনার উদ্যোগ না নিয়ে কেবল অক্সফোর্ডের টিকা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে আনার উদ্যোগ নেওয়া হলো। আবার তাও জি-টু-জি চুক্তি না করে বেক্সিমকোর মাধ্যমে সেরাম থেকে ভ্যাকসিন আনার চুক্তি হয়েছে। এখন অগ্রিম টাকা দিয়েও ভ্যাকসিন পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বিবৃতিতে বাসদ সম্পাদক বলেন, বর্তমান সরকার ভারতকে বন্ধু মনে করে। কিন্তু ভারত সবসময় বাংলাদেশের জনগণকে জিম্মি করে তাদের স্বার্থ হাসিল করে, তার অনেক প্রমাণ রয়েছে। সব সুবিধা নিয়েও তিস্তার পানি দিচ্ছে না। ২০০৭ সালে চাল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা দেয়নি। গত ২ বছর পিয়াজ রফতানি বন্ধ করে আমাদের কী নাকালই না করেছে! এবারে সেরামের ভ্যাকসিন রফতানিতে ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের ভারত-প্রীতি জনগণকে আজ এই করোনা ভ্যাকসিনের সংকটে ফেলেছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, কেবল ভারতের ওপর নির্ভরশীল না থেকে আরও আগেই চীন, রাশিয়াসহ অন্য দেশ থেকে ভ্যাকসিন আনার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। এখন যখন ভারত ভ্যাকসিন দিচ্ছে না, তখন অন্য দেশ থেকে আনার কথা শোনা গেলেও সেখানে ভয়ের বিষয় হলো, বেসরকারিভাবে সেসব ভ্যাকসিন আনার কথা বলা হচ্ছে। এতে করে জনগণ ব্যবসায়ীদের মুনাফার লালসার শিকারে পরিণত হবে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর