লালমনিরহাটে ধানক্ষেতে নেক ব্লাস্ট সংক্রমণ
২২ এপ্রিল ২০২১ ০৯:৫৩
লালমনিরহাট: বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে। সোনার ধান ঘরে তোলার স্বপ্নে বিভোর কৃষক। এমন সময় ধানের ক্ষেতে বাসা বেঁধেছে ‘নেক ব্লাস’। হুমকির মুখে পড়েছে ধানের ফলন।
বুধবার (২১ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার আবাদি জমির একটা বড় অংশে আঘাত হেনেছে নেক ব্লাস্ট। ধানের এই সংক্রামক রোগ দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে পার্শ্ববর্তী ক্ষেতে। পাকা ধানের শীষগুলো ধীরে ধীরে হালকা সাদা ও পরে পাতান (চাল বিহীন) হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন কীটনাশক ও ছত্রাক নাশক ব্যবহার করেও নেক ব্লাস্টের প্রতিকার করতে পারছেন না কৃষকরা।
কৃষকদের ভাষ্যমতে, আগামী দু-সপ্তাহের মধ্যে জেলার অধিকাংশ এলাকার পাকা বোরো ধান মাড়াইয়ের পর্যায়ে যাবে। এই সময়ে নেক ব্লাস্ট সংক্রমণ হওয়ায় ভালো ফলন নিয়ে শংকা তাদের।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট এলাকার কৃষক আব্দুল মোতালেব বলেন, আমার ধান প্রায় পেকে গেছে। ধানের গাছ দেখে ভালো ফলনও আশা করছি। কিন্তু ক্ষেতের কিছু কিছু অংশে ব্লাস্ট সংক্রমণ হওয়ায় কিছুটা দুঃশ্চিন্তায় আছি।
জেলার আদিতমারি উপজেলার দৈলজোর এলাকার কৃষক জয়নুল আবেদীন বলেন, আমার ধান খুব ভালো হয়েছিল। হঠাৎ ব্লাস্ট ধরে ক্ষেতের অনেকাংশের ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে। কয়েক প্রকার কিটনাশক ব্যবহার করেও ভালো ফল পাচ্ছি না। আর পরামর্শ দিতে এখন পর্যন্ত এ এলাকায় কৃষি অফিসের কাউকে চোখেও পড়েনি আমার।
এ মৌসুমে ধানে নেক ব্লাস্ট সংক্রমণ বিষয়ে জানতে চাইলে খামার বাড়ি লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. শামীম আশরাফ বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে জেলার পাঁচ উপজেলায় সাতচল্লিশ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে চাষাবাদ হয়েছে সাতচল্লিশ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে (লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যা ৪৫০ হেক্টর বেশি)। তথ্যমতে চাষাবাদ কৃত ধানে ব্লাস্ট সংক্রমণ হয়েছে ৬.৯ হেক্টর এর মধ্যে বিভিন্ন ছত্রাক নাশক ব্যবহার করে ৪.৫ হেক্টর জমির ব্লাস দমন করা হয়েছে। চলতি মৌসুমের নেক ব্লাস্ট সংক্রমণ ঠেকাতে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের নানা ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/এএম