ঢাকা: সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, চলতি অর্থবছরেই শতভাগ ভাতাভোগীকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের (নগদ, বিকাশ) মাধ্যমে ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ে ২০২০-২১ সালে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সাড়ে ৮৮ লাখ উপকারভোগীর ভাতা ‘জিটুপি’ পদ্ধতিতে সরাসরি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে পাঠানোর অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির কারণে অনগ্রসর জনগোষ্ঠী সংকটের মধ্যে আছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতাভোগীদের যথাসময়ে ভাতা পাওয়া নিশ্চিত করতে ‘জিটুপি’ পদ্ধতিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় বিশ্ব কম্পমান। কিন্তু, মহামারিতে বাংলাদেশ নাজুক হয়ে যায়নি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনার প্রকোপের মধ্যেও বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং উন্নয়ন কর্মকান্ড থমকে যায়নি। অর্থনীতির চাকা ছিল সচল। করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী সারাবিশ্বে নেতা হিসেবে আলোচিত এবং প্রশংসিত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রায় এক কোটি মানুষ সরকারি বিভিন্ন ভাতার আওতায় রয়েছেন। করোনা মহামারিতে এ বিশাল ভাতাভোগী জনগোষ্ঠীর কাছে যথাসময়ে ভাতা পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে। উপকারভোগীরা যেনো কোনোরকম বিড়ম্বনা ছাড়াই যথাসময়ে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট (নগদ এবং বিকাশ) ব্যবহার করে ভাতা উত্তোলন করতে পারে তা নিশ্চিত করতে মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে সকল ভাতাভোগীর তথ্য যাচাই করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আওতায় আনা একটা চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকান্ড জরুরি সেবার আওতায় আসলে সবাই নির্বিঘ্নে কাজ করার পরিবেশ তৈরি হবে। তাই সংশ্লিষ্টদের এই পদক্ষেপ বাস্তবায়নের তাগিদ দেন তিনি।
এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান সমাজকল্যাণ মন্ত্রী।
এদিকে, মন্ত্রণালয়ের ওই ভার্চুয়াল সভায় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, সচিব মাহফুজা আখতারসহ সংযুক্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা এবং মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের (নগদ ও বিকাশ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।
