ক্রেতা সংকটে লোকসানের মুখে বরিশালের তরমুজ ব্যবসায়ীরা
২৩ এপ্রিল ২০২১ ১৭:১০
বরিশাল: বিভাগীয় শহরসহ ৬ জেলার প্রতিটি উপজেলায় ক্রেতা সংকটের কারণে লোকসানের মুখে পড়েছে তরমুজ ব্যবসায়ীরা। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় চলমান লকডাউনের কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চলমান লকডাউন ও রমজানকে ঘিরে লোকজন ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। ফলে স্থানীয় বাজারে মৌসুমী ফল তরমুজের চাহিদা কমে গেছে। ক্রেতা কমে যাওয়ার কারণে পাইকারি দোকানে মজুদ করা তরমুজে পচন ধরতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা এবার তরমুজের বাম্পার ফলন পেয়েছেন। লকডাউনের আগে অধিকাংশ চাষি তরমুজের ভাল দামও পেয়েছেন। তবে পাইকারি বিক্রেতারা খেত থেকে তরমুজ কেনার পর ট্রাক ভর্তি করে বিভিন্ন মোকামে পাঠানোর পরপরই লকডাউনের ঘোষণা আসে। যে কারণে লোক সমাগম কমে যাওয়ায় ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর চৌমাথা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পাইকারি তরমুজ বিক্রেতারা তাদের দোকানের সামনে ও ভেতরে শত শত তরমুজ সাজিয়ে রেখেছেন। কঠোর লকডাউনের কারণে বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ক্রেতারা আসতে না পারায় দোকান ভর্তি তরমুজ পড়ে রয়েছে।
পাইকারি তরমুজ ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক হাওলাদার জানান, লকডাউনের আগে তিনি পটুয়াখালি জেলার কলাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৯ লাখ টাকার তরমুজ কিনেছেন। হঠাৎ করে লকডাউন শুরু হওয়ায় কোনো পাইকার আসতে পারছেন না। যে কারণে এখন খুচরা বিক্রি করতে হচ্ছে।
একই বাজারের ব্যবসায়ী সোহাগ খান জানান, বর্তমানে তার দোকানে প্রায় ৩ লাখ টাকার তরমুজ রয়েছে। বরিশাল নগরীর আশেপাশের জেলা ও উপজেলার খুচরা বিক্রেতারা তার কাছ থেকে তরমুজ কেনেন। কিন্তু কঠোর লকডাউনের কারণে তারা আসতে না পারায় দোকান ভর্তি তরমুজ পড়ে রয়েছে।
সারাবাংলা/এমও