উঠে যাচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ
২৩ এপ্রিল ২০২১ ১৮:১৭
ঢাকা: করোনাভাইরাস সংক্রমণে জারি করা চলমান বিধিনিষেধের শর্ত শিথিল হতে যাচ্ছে। ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত জারি করা এই কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ আর বাড়ছে না। শিগগিরই এ বিষয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত জানাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বিধিনিষেধের বদলে ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ কর্মসূচি আরও কঠোরভাবে পালনে গুরুত্ব দেবে সরকার। সেই সঙ্গে গুরুত্ব দেওয়া হবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে। এ ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধের বিষয় আর সেভাবে থাকবে না।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, জীবন-জীবিকা, অর্থনীতিসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়েই এ ধরনের চিন্তা বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বিধিনিষেধের শর্ত শিথিল করে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পালনের ওপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ বিষয়টি শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে। মানুষ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখবে। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানলে আমরা জীবন ও জীবিকা— দু’টোই চালাতে পারব।
সরকার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পর থেকে সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে বলে বার্তায় জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা সচেতন হলে এই সংক্রমণ আরও কমবে। তাই বিধিনিষেধ শিথিল করে জনগণকে সচেতন করা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ২৮ এপ্রিলের মধ্যে জানানো হবে।
গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়ার বিষয়েও ভাবা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনুমতি দেওয়া হলেও তাদের কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তবে তখন জীবনযাত্রার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়ে আগামী ২৮ এপ্রিলের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। সেখানে প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বিমা, পরিবহন কিভাবে চলবে, সে সম্পর্কে নির্দেশনা থাকবে।
এর আগে, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণে ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি দেখা দিলে ২৯ মার্চ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউন আরোপের পরামর্শ দিচ্ছিলেন। পরে সরকার ৫ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়া, শপিং মল ও দোকানপাট বন্ধ রাখার মতো বিধিনিষেধ জারি করে। একদিন পর অবশ্য সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর পরদিন শপিং মল ও দোকানপাটও খুলে দেওয়া হয়।
সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ আরোপ করে। সেই বিধিনিষেধ পরে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই বিধিনিষেধের আওতায় গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া নাগরিকদের বাইরে বের হতেও নিষেধ করা আছে। এই বিধিনিষেধের আওতায় কাঁচাবাজার ও নিত্যপণ্যের দোকান ছাড়া শপিং মল ও দোকানপাটও বন্ধ ছিল। তবে আজ শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রোববার থেকে শপিং মল ও দোকানপাট খোলা রাখা যাবে।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর
কঠোর বিধিনিষেধ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিধিনিষেধ বিধিনিষেধ শিথিল