Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘অক্সফোর্ডের ২০ লাখ, ফাইজারের ১ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৫ এপ্রিল ২০২১ ১৫:২৮

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ২১ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম।

রোববার (২৫ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক।

অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম বলেন, আগামী মাসে কোভ্যাক্স থেকে এক লাখ ডোজ ফাইজারের ভ্যাকসিন আসবে। এ ভ্যাকসিন বাংলাদেশ পাবে বিনামূল্যে। এছাড়া ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকেও আসবে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন। যেহেতু ভ্যাকসিন শেষ হওয়ার আগেই আমরা পাচ্ছি, সুতরাং কোনো সংকট হবে না। আর তাই আমাদের জাতীয়ভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের কর্মসূচি আমাদের চলবে।

তিনি বলেন, চীন সরকার ৫ লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন উপহার হিসেবে দিচ্ছে বাংলাদেশকে। এগুলো সিনোফা কোম্পানির তৈরি ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন দেশে আনার অনুমতি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। এটা প্রয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবে করোনা বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, খুব দ্রুত ভারতের সাথে যোগাযোগ বন্ধ না করলে সে দেশের করোনা ভ্যারিয়েন্ট এ দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। দেশটির সঙ্গে জরুরি পণ্য পরিবহন ছাড়া সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে।

দেশে তিনটি ফার্মাসিউটিক্যালসের করোনার ভ্যাকসিন তৈরি সক্ষমতা আছে বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক।

দেশে ফেব্রুয়ারি প্রথম সপ্তাহ থেকে জাতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্যাটেন্টে তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে দেশে। এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করেছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। তাদের কাছ থেকেই তিন কোটি ভ্যাকসিন কিনতে বাংলাদেশ সরকার ও বেক্সিমকোর মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয় গত বছরের নভেম্বরে। চুক্তি অনুযায়ী, সিরাম ইনস্টিটিউটের বাংলাদেশকে মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা।

বিজ্ঞাপন

এর মধ্যে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি জানুয়ারি মাসে প্রথম চালানে ৫০ লাখ এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ২০ লাখ মোট ৭০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে। আর ভারত সরকার উপহার হিসেবে দিয়েছে ৩২ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন। সব মিলিয়ে সরকারের হাতে ১ কোটি ২ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসে। কিন্তু গত দুই মাসে ভ্যাকসিনের কোনো চালান-ই পাঠায়নি সিরাম। কবে পাঠাবে সে বিষয়েও কোনো তথ্য নেই সরকারের কাছে। এদিকে এরই মধ্যে ভ্যাকসিনের প্রায় ৭৫ লাখ ডোজ দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এখনই সিরাম থেকে ভ্যাকসিন না পাওয়া গেলে চলমান ভ্যাকসিন কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সারাবাংলা/এসবি/এএম

অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন ফাইজার ভ্যাকসিন ভ্যাকসিন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কানপুরে প্রথম দিনে বৃষ্টির দাপট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৫

সম্পর্কিত খবর