মার্কেট খুললেও ক্রেতা নেই, সময় বাড়ানোর দাবি
২৫ এপ্রিল ২০২১ ১৭:০১
ঢাকা: সরকারি কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট, শপিংমলসহ সবধরনের মার্কেট খুলে দেওয়া হলেও ক্রেতার দেখা নেই। অধিকাংশ মার্কেটে ক্রেতা না থাকায় দোকানিরা বসে খোশগল্প করছেন কিংবা মোবাইলে গেমস খেলছেন। তবে বেশিরভাগ দোকান মালিকদের আশা, ঈদের আগ মুহূর্তে কেনাকাটা জমে উঠবে। সেজন্য তারা কঠোর বিধিনিষেধ তুলে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মার্কেট ও শপিংমল খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন।
রোববার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর মৌচাক সুপার মার্কেট, ফরচুন শপিংমলসহ বেশকয়েকটি মার্কেট সরেজমিনে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। এর আগে রোববার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশের মার্কেট ও শপিংমল খুলে দেওয়া হয়।
রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর মালিবাগের ফরচুন শপিং সেন্টারে গিয়ে দেখা গেছে, বহুতল বিশিষ্ট এই মার্কেটের বিভিন্ন ফ্লোরের দোকানগুলোতে ক্রেতা নেই বললেই চলে। দোকানদাররা দোকানে বসে অলস সময় পার করছেন। কেউ আবার দীর্ঘদিন পর দোকান খোলার কারণে সবকিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছেন। কেউবা মালামাল সাজিয়ে বসে আছেন, কিন্তু ক্রেতা নেই।
ফরচুনের শপিং মলের নিচতলা এসডি কসমেটিকস দোকানে গিয়ে দেখা যায় সেখানে একজন ক্রেতাও নেই। দোকানের কর্মচারী সাগর সারাবাংলাকে বলেন, ‘সকাল ১০টায় দোকান খুলছি, এখন দুপুর আড়াইটা বাজে এই সময়ের মধ্যে মাত্র এক/দেড় হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে। এটি স্বাভাবিক সময়ের ১০ শতাংশেরও কম।’ একই কথা বলছেন ফরচুন শপিং মলের লেভেল-২ থাকা কাপড়ের দোকান মায়ের আঁচল শাড়ী ঘরের মালিক মো. আতাউর রহমান। তিনি বলেন, ‘দোকারে বেচাকেনা নেই বললেই চলে। তারপরও দোকান খুলে দেওয়ার জন্য আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করছি ঈদের ৮/১০ দিন আগে মার্কেটে কেনাকাটা জমে উঠবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরও করোনার কারণে মার্কেট বন্ধ থাকায় বেচাকেনা করা সম্ভব হয়নি। এই বছরও যদি একই অবস্থা হয় তাহলে আমদের পথে বসতে হবে।’
অন্যদিকে মৌচাক মার্কেট গিয়েও একই চিত্র দেখা যায়। মার্কেটের বিভিন্ন ফ্লোর ঘুরে দেখা গেছে হাতে গোনা কয়েকজন ক্রেতা রয়েছেন। মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত ‘নিউ শিলা সুজ’ দোকানে গিয়ে দেখা যায় মালিকসহ কয়েকজন কর্মচারী বসে গল্প করছেন। এ সময় কথা হয় দোকান মালিক মো. টিপুর সঙ্গে। টিপু সারাবাংলাকে বলেন, ‘একদিকে লকডাউন, অন্যদিকে রমজান মাস। ফলে কোনো কাস্টমার নাই। কারণ বিকেল পাঁচটার মধ্যে দোকান বন্ধ করার বিধিনিষেধ রয়েছে। ফলে মার্কেটে ক্রেতারা আসতে পারছেন না।’
তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে লকডাউন দেবে তা বুঝতে পারিনি। চলতি বছরের শুরুতে পহেলা বৈশাখ ও ঈদ সামনে রেখে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার মালামাল দোকানে তুলেছি। কিন্তু লকডাউন দিয়ে দেওয়ায় বিনিয়োগ নিয়ে চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।’
টিপু সারাবাংলাকে বলেন, ‘আশা করছি ঈদের আগে কেনাকাটা বাড়বে। সেজন্য মার্কেট ও শপিংমল খোলা রাখার সময় বাড়াতে হবে। সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার সুযোগ দিতে হবে। কারণ রোজার দিনে অধিকাংশ ক্রেতা দুপুরে কেনাকাটা করতে বের হয়। কিন্তু বিকের পাঁচটার মধ্যে দোকান বন্ধ করা হলে ক্রেতারা আসতে পারবেন না।’
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম