Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কর্মহীন মানুষের সহায়তায় ৫৭৪ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৫ এপ্রিল ২০২১ ১৭:২০

ফাইল ছবি

ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে কঠোর বিধিনিষেধের কারণে কর্মহীন মানুষের মানবিক সহায়তা দিতে সরকার এখন পর্যন্ত ৫৭৪ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এ পরিমান টাকায় দেশের প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ পরিবার উপকৃত হবে।

রোববার (২৫ এপ্রিল) ত্রাণ বরাদ্দ ও বিতরণ কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এ তথ্য জানান।

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলাচল সীমিতকরণের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সারাদেশের কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য সরকার গত বছর বিপুল পরিমান খাদ্যসামগ্রীসহ আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কর্মহীন মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা দিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

তিনি জানান, ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে দেশের সব সিটি করপোরেশনের আওতায় শিশুখাদ্যের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জিআর ক্যাশ হিসেবে দেওয়া হয়েছে ১২১ কোটি টাকা, ভিজিএফ ৪৭২ কোটি টাকা, দেশের বড় সিটি করপোরেশনগুলোতে ৫৭ লাখ টাকা আর ছোটগুলোতে ৩২ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও টাকা দেওয়া হয়েছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিতরণের জন্য সাড়ে সাত কোটি টাকার প্যাকেটজাত খাবার কেনা হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটে ডাল, তেল, চিনি, নুডুলস, চিড়া আর ১০ কেজি চালসহ প্রতিটি প্যাকেটের ১৭ কেজি ওজনের খাদ্যসামগ্রী থাকবে। যা দিয়ে একটি পরিবারের ৭ দিন চলে যাবে। এছাড়া আরও দশ কোটি টাকার খাদ্যসামগ্রী কেনা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য শিগগিরই ৪০ কোটি টাকার ঢেউ টিন কেনা হবে। টিআর-কাবিখা খাতে তৃতীয় কিস্তিতে ৯৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর বাস্তবায়ন চলমান থাকায় কর্মহীন মানুষ এ কাজে অংশগ্রহণ করবে পারবে। আবার কালবৈশাখী, ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে দেশের ৬৪ জেলায় ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এ’ ক্যাটাগরি জেলার জন্য ৩ লাখ টাকা, ‘বি’ ক্যাটাগরি জেলার জন্য আড়াই লাখ এবং ‘সি’ ক্যাটাগরি জেলার জন্য দুই লাখ টাকা। জেলা প্রশাসকরা যেকোনো দুর্যোগে এই টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রী অতি সম্প্রতি কর্মহীন মানুষকে আর্থিক সহায়তায় ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে ২ হাজার ৫০০ টাকা হারে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যামে সরাসরি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে বিতরণ করা হবে। এছাড়াও হিটশকে ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ কৃষক পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।’

সিটি কর্পোরেশন এলাকায় যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেটা পর্যাপ্ত কিনা, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই পর্যাপ্ত নয়। কারণ যে পরিমাণ মানুষ কর্মহীন রয়েছে, তাকে সেখানে এই ৫০-৫৭ লাখ টাকা কোন অঙ্ক না। মেয়ররা বলেছেন, ৫০ লাখ না দিয়ে যদি ৫ কোটি দেন তাও এখানে কুলাবে না। আমরা বলেছি, প্রধানমন্ত্রী আমাদের নগরের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে বলেছেন, নগরে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বেশি। আমরা প্রস্তুত আছি, এটা বিতরণ করুন। আবার চাহিদা পাঠান আমরা দেব।’

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমদানি, লোকাল ক্রয় এবং বোরো উৎপাদন মিলিয়ে আমরা মজুতের ক্ষেত্রে স্বস্তিকর অবস্থায় আছি। আমাদের খাদ্য সংকট হবে না। আমাদের সরকারের সামর্থ্য আছে, যতদিন প্রয়োজন আমরা এই মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাব।’

সারাবাংলা/জেআর/এমও

এনামুর রহমান করোনাভাইরাস কর্মহীন মানুষ টপ নিউজ বরাদ্দ মোবাইল ব্যাংকিং


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর