আ.লীগ নেত্রীকে কুপিয়ে হত্যায় স্বামীর দোষ স্বীকার
২৫ এপ্রিল ২০২১ ১৯:২২
ঢাকা: রাজধানীর পল্লবীতে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ কমিটির সদস্য উমামা বেগম কনককে (৪০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় স্বামী ওমর ফারুক আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার (২৫ এপ্রিল) পল্লবী থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল আজাদ তাকে আদালতে হাজির করেন। এরপর আসামি ওমর ফারুক স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন।
আবেদনের পর বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে পল্লবী থানাধীন মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি মারা যান।
পুলিশ জানায়, ওই নারীকে ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দাম্পত্যকলহের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। এর পেছনে আরও কিছু আছে কী না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিহতের বড় বোন রুমা আক্তার জানান, কনকের স্বামী ওমর ফারুক দীর্ঘদিন জাপান ছিলেন। দেশে আসার পর থেকে তিনি বেকার। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ হতো। এর জেরে গত রাতে ফারুক ধারালো অস্ত্র দিয়ে কনককে কুপিয়ে আহত করে। পরে খবর পেয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন আজ ভোরে সে মারা যায়।
রুমা আরও জানান, কনককে কুপিয়ে আহত করার পর ফারুক বাসাতেই ছিলেন। তিনি সবার কাছে এই ঘটনা স্বীকারও করেছেন। এই দম্পতির বাড়ি নরসিংদী সদরে। এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে মিরপুরের পল্লবীতে থাকতেন।
সারাবাংলা/এআই/এমও