৪১৪ দিনে মৃত্যু ছাড়াল ১১ হাজার, শেষ ২ হাজার ২৫ দিনে
২৫ এপ্রিল ২০২১ ১৯:৫৭
ঢাকা: দেখতে দেখতে দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা পেরিয়ে গেল ১১ হাজার। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথমবারের মতো এই ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনা সংক্রমণ নিয়ে প্রথম মৃত্যুর সাক্ষী হয় বাংলাদেশ। এরপর সেই প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের ৪১৪ দিনের মাথায় এসে মৃত্যু ছাড়াল ১১ হাজারের ঘর।
গত ৩১ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যু ৯ হাজার পেরিয়েছিল। ১৫ এপ্রিল মৃত্যুসংখ্যা ছাড়িয়ে ছাড়ায় ১০ হাজার। সে হিসাবে গত মাত্র ১০ দিনে দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে, এত কম সময়ের মধ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ে একহাজার মানুষের মৃত্যু হয়নি। সর্বশেষে ২৫ দিনে মারা গেছে দুই হাজারের বেশি।
স্বাভাবিকভাবেই গত এই দুই সপ্তাহ সময়ে আলাদা আলাদাভাবে প্রায় প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। এর মধ্যেই একদিনে সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যু ঘটেছে ১৯ এপ্রিল। আর এই সময়ের মধ্যে কোনোদিনই মৃত্যু ৫০-এর নিচে নামেনি। সর্বনিম্ন ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছিল গত ২ এপ্রিল। ৫০-এর ঘরে মৃত্যু ছিল আরও চার দিন। মৃত্যু ষাটের ঘরে ছিল চার দিন, সত্তরের ঘরে তিন দিন। একদিন আশির ঘরে ছিল মৃত্যু সংখ্যা। ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু সংখ্যা ৯০ ছাড়িয়ে যায়। ১৬ এপ্রিল ছাড়ায় ১০০ এর ল্যান্ডমার্কও। গত দুই সপ্তাহে দেশে পাঁচ দিন একশ জনের অধিক মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
রোববার (২৫ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এর মাধ্যমেই ১১ হাজার মৃত্যু পেরিয়ে গেল বাংলাদেশ। শেষ ২৪ ঘণ্টায় এই ১০১ জনের মৃত্যু একদিনে তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুরও রেকর্ড।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গত ১৮ মার্চ। এরপর থেকে রোববার পর্যন্ত দেশে ১১ হাজার ৫৩ জন মারা গেলেন এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে। দেশে একদিনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যু ঘটেছে যে সাত দিনে, তার সবগুলো দিনই এই এপ্রিলেরই। সুনির্দিষ্টভাবে বললে, এই সাত দিনের মধ্যে ছয় দিনই সবশেষ দুই সপ্তাহের।
২০২১ সালের ১৯ এপ্রিল: এদিন দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে ১১২ জন মারা যান। এখন পর্যন্ত একদিনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটিই।
২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল: এদিন দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে ১০২ জন মারা যান। এখন পর্যন্ত একদিনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি।
২০২১ সালের ১৬ এপ্রিল: এদিন দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে ১০১ জন মারা যান। এখন পর্যন্ত একদিনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি।
২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল: এদিন দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে ১০১ জন মারা যান। এখন পর্যন্ত একদিনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি।
২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল: এদিন দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে ১০১ জন মারা যান। এখন পর্যন্ত একদিনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি।
২০২১ সালের ২২ এপ্রিল: এদিন দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে ৯৮ জন মারা যান। এখন পর্যন্ত একদিনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটিই।
২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল: এদিন দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে মারা যান ৯৬ জন। এখন পর্যন্ত এটি একদিনে পঞ্চম সর্বোচ্চ মৃত্যু।
২০২১ সালের ১২ এপ্রিল: এই দিনে দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে একদিনে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৮৩ জন করে মারা গিয়েছিলেন।
২০২১ সালের ২১ এপ্রিল: দেশে এদিন কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে মারা যান ৯৫ জন, যা এখন পর্যন্ত একদিনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল: এদিন দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা যান ৯৪ জন। দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে দিনটি।
২০২১ সালের ২০ এপ্রিল: এদিন ৯১ জন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে মারা যান দেশে, যা একদিনে সপ্তম সর্বোচ্চ।
করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যু যেভাবে ১১ হাজার ছাড়াল
দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৮ মার্চ। সেদিন একজনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের ব্রিফিংয়ে। প্রায় একমাস পর ১৫ এপ্রিল করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা স্পর্শ করে ৫০-এর ঘর। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১০১ জন।
একমাস পাঁচ দিন পর ২৫ মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় পাঁচশ। ১৫ দিনের মাথায় ১০ জুন এই সংখ্যা স্পর্শ করে হাজারের ঘর। সে হিসাবে দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের ৯৫ দিনে করোনায় মৃত্যু স্পর্শ করে হাজারের ঘর।
এর ২৫ দিনের মধ্যেই আরও একহাজার মৃত্যুর কারণ হয় করোনা। ৫ জুলাই দুই হাজার ছাড়িয়ে যায় মৃত্যু। এর পরের এক হাজার মৃত্যু হয় আরও দ্রুত— মাত্র ২৩ দিনে। ২৮ জুলাই তিন হাজারের ঘর ছাড়িয়ে যায় করোনায় মৃত্যু।
দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে চতুর্থ ও পঞ্চম হাজার মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে সময় লাগে ২৮ দিন করে। ২৫ আগস্ট চার হাজার ও ২২ সেপ্টেম্বর পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে যায় মৃত্যু। এরপর করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যুর গতি সামান্য কমে যায়।
২২ সেপ্টেম্বরের ৪৩ দিন পর ৪ নভেম্বর ছয় হাজার, এর ৩৮ দিন পর ১২ ডিসেম্বর সাত হাজার এবং এর ৪২ দিন পর ২৩ জানুয়ারি করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যু পেরিয়ে যায় আট হাজারের ঘর।
এরপর করোনায় মৃত্যুর গতি বেশ ধীর হয়ে পড়ে। আট হাজারের পর ৯ হাজারের ঘরে যেতে সময় লাগে দুই মাসেরও বেশি— ৬৭ দিন। এ বছরের ৩১ মার্চ দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা পেরিয়ে যায় ৯ হাজার।
যদিও মধ্য মার্চ থেকেই করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছিল। এপ্রিলের এসে তা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। এপ্রিলের আগে যেখানে গত একবছরেরও বেশি সময়ে মাত্র ৯ দিন মৃত্যু পেরিয়েছিল ৫০-এর ঘর, সেখানে এপ্রিলের ১৫ দিনের মধ্যে একদিনও মৃত্যু ৫০-এর নিচে নামেনি। বরং আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে সত্তর, আশি, নব্বইয়ের ঘরও পেরিয়ে একদিনে সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যুও দেখেছে বাংলাদেশ। আর সে কারণেই এই ২৫ দিনেই করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৭ জনের।
অর্থাৎ এই সময়ে গড়ে প্রতিদিন মারা গেছেন ৮০ জন করে, যেখানে গেল মার্চে আগে গত একবছর সময়ের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ডই ছিল ৬৪ জন (২০২০ সালের ৩০ জুন)।
বয়সভিত্তিক মৃত্যুর পরিসংখ্যান
দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে যে ১১ হাজার ৫৩ জন মারা গেছেন, তাদের অর্ধেকেরও বেশি ষাটোর্ধ্ব, আর সবচেয়ে কম মারা গেছে নবজাতকসহ অনূর্ধ্ব-১০ বছর বয়সীরা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত ১১ হাজার ৫৩ জনের মধ্যে ছয় হাজার ২৭৪ জনই ষাটোর্ধ্ব। অর্থাৎ করোনায় মোট মৃত্যুর ৫৬ দশমিক ৭৬ শতাংশই এই বয়সী।
এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ২ হাজার ৬৯১ জন (২৪.৩৫ শতাংশ) ও ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী এক হাজার ২২৭ জন (১১.১০ শতাংশ) মারা গেছেন করোনা সংক্রমণ নিয়ে।
মৃত্যুর হার কম বয়সীদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে কম। এর মধ্যে নবজাতক থেকে শুরু করে ১০ বছর বয়সসীমার মধ্যে মারা গেছে ৪২ জন (শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ), ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী মারা গেছে ৭৪ জন (শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ)। এছাড়া করোনা সংক্রমণ নিয়ে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১৯৯ জন (১ দশমিক ৮০ শতাংশ) ও ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৫৪৬ জন (৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ) মারা গেছেন।
বিভাগভিত্তিক মৃত্যুর পরিসংখ্যান
এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুর অর্ধেকেরও বেশি ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে মারা গেছেন ছয় হাজার ৪৫১ জন, যা মোট মৃত্যুর ৫৮.৩৬ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুই হাজার জন মারা গেছেন চট্টগ্রাম বিভাগে, এই বিভাগে মৃত্যুর হার মোট মৃত্যুর ১৮.৯ শতাংশ।আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬৭৩ জন মারা গেছেন খুলনা বিভাগে, মোট মৃত্যুর শতকরা হার ৬.০৯ শতাংশ।
এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৫৭৮ জন (পাঁচ দশমিক ২৩ শতাংশ), রংপুর বিভাগে ৪১৫ জন (তিন দশমিক ৭৫ শতাংশ), সিলেট বিভাগে ৩৭৩ জন (৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ), বরিশাল বিভাগে ৩২৮ জন (দুই দশমিক ৯৭ শতাংশ) ও ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন ২৩৫ জন (২ দশমিক ১৩ শতাংশ)।
এ পরিস্থিতিতে করণীয় কী
চলমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যায় ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে প্রায় মাসখানেক হলো। তবে এই সময়ে কিন্তু সংক্রমণও অনেক বেড়েছে। সার্বিকভাবে সংক্রমণের বিপরীতে মৃত্যুর হার কিন্তু এই সময়ে বরং কমেছে। গত ১৫ দিনের হিসাবই যদি ধরা হয়, শনাক্তের বিপরীতে মৃত্যুর হার ১ শতাংশের সামান্য কিছু বেশি। আর এখন পর্যন্ত আমাদের দেশে করোনা সংক্রমণে গড় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ফলে এটা বলা যায়, সংক্রমণের পরিমাণ যত বাড়বে, মৃত্যুও তত বাড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংক্রমণ বাড়লেই বয়স্ক মানুষদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়বে। যারা অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত, তাদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। আর বয়স্ক এবং এ ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা করোনায় আক্রান্ত হলে বরং মৃত্যুর হার আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে। তাই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে। ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে অবশ্যই গবেষকরা কাজ করবেন। কিন্তু যে কোনো ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে আসলে জেতা সম্ভব হবে যদি মাস্ক পরার অভ্যাসটা বাড়ানো যায়।’
দেশে বিধিনিষেধ থাকুক না থাকুক, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রত্যেকেকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়টি ফের মনে করিয়ে দিলেন কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘মাস্ক পরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। ভ্যাকসিন দেওয়া হোক, লকডাউন দেওয়া হোক বা আর যাই কিছু করা হোক না কেন— যে বা যারা মাস্ক পরবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে, তাদের কিন্তু সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি কম। আবার তারা নিজেরা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও তাদের কাছ থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকিও কম থাকবে। প্রত্যেককেই যদি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করানো সম্ভব হয়, তাহলেই কেবল সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব।’
সারাবাংলা/এসবি/এমও
করোনা মৃত্যু মৃত্যু ছাড়াল ১১ হাজার সংক্রমণ স্বাস্থ্য অধিদফতর