Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনাকালে সহায়তা পাবেন আরও দুই হাজার সাংবাদিক: তথ্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৫ এপ্রিল ২০২১ ২১:০৪

ঢাকা: আরও দুই হাজার সাংবাদিককে করোনাকালীন সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

রোববার (২৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। করোনা আক্রান্তের পর চিকিৎসাধীন তথ্যসচিব ও ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান খাজা মিয়া অনলাইনে সভায় যোগ দেন।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কিভাবে সাংবাদিকদের সহায়তা করতে পারি সেজন্যই আজকে এই জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সভায় আপাতত ২ হাজার সাংবাদিককে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে এককালীন সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এই অর্থবছরে কল্যাণ ট্রাস্টের নিয়মিত সহায়তার আওতায় আরও প্রায় দুই শতাধিক সাংবাদিককে সহায়তা দেওয়া হবে।

ড. হাছান বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যে সাংবাদিকদের ভূমিকা এবং অস্বচ্ছল, নানা কারণে চাকরিচ্যুত বা চাকরি থাকা সত্ত্বেও বেতন না পাওয়া সাংবাদিকদের সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাক্রমে করোনা মহামারির প্রথম দফায় সারাদেশে দলমত নির্বিশেষে ৩ হাজার ৩৫০ জন সাংবাদিককে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। যেসব সাংবাদিক বন্ধু প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে সরকারের ওপর বিষোদগার করেন, তাদের মধ্যে অস্বচ্ছলরাও যেন এই সহায়তা থেকে বাদ না যায়, আমার সেই অনুরোধ সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা রেখেছিলেন, এজন্য তাদের ধন্যবাদ।’

করোনাকালে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতির বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, এসময় এটি অত্যন্ত দু:খজনক, অনভিপ্রেত ও আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য। আমি জানি, সংবাদমাধ্যমগুলো করোনাকালে অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মতোই নানা সমস্যার সম্মুখীন। কিন্তু বিষয়টাকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার অনুরোধ আমি শুরু থেকেই করেছিলাম। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সেটি অনুসরণ করা হয়নি। সেটি অত্যন্ত দু:খজনক। সম্প্রতি যেখানে চাকরিচ্যুতি হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে এবং সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো চেষ্টা করছে। আশা করবো, যাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদেরকে পুনর্বহাল করা হবে বলে আমার প্রত্যাশা।

বিজ্ঞাপন

লকডাউন শিথিল করার বিষয়ে ড. হাছান বলেন, ‘সরকার লকডাউন দেওয়ার পর লকডাউন না দেওয়ার জন্য, দোকান খোলার জন্য বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। মানুষের জীবন এবং জীবিকা উভয়ই রক্ষাকল্পে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট হচ্ছে এবং দেশে কয়েক কোটি মানুষ দোকানের ওপর নির্ভরশীল। সামনে ঈদ, এগুলো সরকারকে বিবেচনা রাখতে হয়। সেকারণে সরকার সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এগুলো খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আমি মনে করি, যদি সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করে, তাহলে আমাদের পক্ষে করোনা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

সভায় সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ ফিজনূর রহমান, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা, ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এস এম মাহফুজুল হক, বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আব্দুল মজিদ, ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন উপস্থিত ছিলেন

সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ

করোনা সাংবাদিক সহায়তা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর