Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জবাবদিহির অনুপস্থিতিই পুরানো ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৬ এপ্রিল ২০২১ ০০:১৪

ঢাকা: পুরানো ঢাকায় আরমানিটোলার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। নিমতলী ও চুড়িহাট্টার মতো মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের পরেও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে পুরানো ঢাকা থেকে রাসায়নিক গুদাম সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি কতিপয় মহলের যোগসাজশ ও অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে রাসায়নিক ও দাহ্যপদার্থের গুদাম, কারখানা ও ব্যবসা টিকিয়ে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি। সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়হীনতা ও কর্মকর্তাদের জবাবদিহির অভাবে নিমতলী ট্র্যাজেডির ১১ বছর পরে হয়ে গেলেও তদন্ত কমিটি ও টাস্কফোর্সের সুপারিশের বেশির ভাগ বাস্তবায়িত হয়নি। পাশাপাশি নিমতলী ও চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব না হওয়ায় আরমানিটোলার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে টিআইবি।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৫ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘একটি ঘটনা ঘটলেই এর কারণ অনুসন্ধানে অনেকগুলো তদন্ত কমিটি হয়, আরমানিটোলার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে, কিন্ত কাজের কাজ হবে কতোটা? পুরানো ঢাকার নিমতলী ট্র্যাজেডির ১১ বছরেও কেন রাসয়নিকের গুদামগুলো সরানো গেলো না? স্থায়ী রাসয়নিক পল্লী কেন প্রস্তুত হলো না? লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ থাকার পরেও কীভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ব্যবসা চলছে ? এমন সব প্রশ্ন আবারও সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু উত্তর পাওয়া যাবে এমন আশাবাদ করতেও ভয় হচ্ছে। কেননা নিমতলী, চুড়িহাট্টার মতো ভয়াবহ ঘটনার পরও রাসয়নিকের গুদাম স্থানান্তের জায়গাই পরিবর্তন হয়েছে চারবার। যা দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর শুধু পরিকল্পনাহীনতা ও দায়িত্বহীনতার চূড়ান্ত উদহারণই নয়, বরং দিন দিন প্রাণহানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।’

সেজন্য নিমতলীর তদন্ত কমিটি ও টাস্কফোর্সের সুপারিশ বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতার জন্য দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

নিমতলী অগ্নিকাণ্ডের পর উচ্চ আদালত পুরানো ঢাকার রাসায়নিক গুদামগুলো কেন সরিয়ে ফেলা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিলেও দীর্ঘ ১১ বছরে সরকার আদালতে কোনো জবাব দাখিল করেনি উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, ‘সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা প্রতিপালন না করার পাশাপাশি আদালত অবমাননাও করেছে। আবার এসব ঘটনায় করা মামলাগুলোও ঝুলে আছে পুলিশ প্রতিবেদনের অপেক্ষায়।’

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘একইসাথে, দ্রুত অগ্নি নির্বাপণের জন্য পুরানো ঢাকায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও অগ্রগতি হয়নি। বরং বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতার সুযোগে কতিপয় মহল অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থের গুদাম, কারখানা ও ব্যবসা টিকিয়ে রাখার একটি অসাধু ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।’

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

অগ্নিকাণ্ড টিআইবি পুরান ঢাকা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর