২৬ মার্চের ঘটনার দায় অস্বীকার করলেন মামুনুল
২৬ এপ্রিল ২০২১ ১৪:৪৯
ঢাকা: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আসাকে কেন্দ্র করে ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমের সামনে পুলিশ ও হেফাজত কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনার দায় অস্বীকার করেছেন বিলুপ্ত হওয়া হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) তার বিরুদ্ধে তিন মামলার রিমান্ড শুনানির সময় মামুনুল হক আদালতকে বলেন, পল্টনের ঘটনার সময় আমি ছিলাম বাংলাবাজার জুমা মসজিদে। আমি ওখানে ইমামতি করি। সেখান থেকেই বায়তুল মোকাররম মসজিদে সমস্যার কথা শুনি। এরপর ডিআইজি আমাকে ফোন করেন। ডিআইজির অনুরোধে আমি বায়তুল মোকাররম মসজিদে আসি। পরে সেখানকার সমস্যাগুলো সমাধান করি।
মামুনুল হক দাবি করেন, তিনি আসার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। তিনি আদালতকে আরও বলেন, এখানে আমার কি অপরাধ? আমাকে ডিআইজি ফোন করে নিয়ে এসেছে। আমিতো তার অনুরোধ এসেছিলাম।
শুনানি শেষে মামুনুল হকের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবা সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের অনুমতিক্রমে মামুনুল হক আদালতে কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: আবারও ৭ দিনের রিমান্ডে মামুনুল
রিমান্ড শুনানি শেষে মামুনুল হককে পৃথক দুই মামলায় আবারও ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এর আগে সাতদিনের রিমান্ডে শেষে তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুল হককে আদালতে হাজির করে পল্টন ও মতিঝিল থানার পৃথক দুই মামলার ২০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। তারপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে সাংবাদিকদের জানান, মামুনুল হক, জুনায়েদ বাবুনগরীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশের সময় তাণ্ডব চালায়। তারা কোরআন শরীফ পর্যন্ত পুড়িয়ে দেয়। সেদিনের ঘটনায় সাতজন মারা যায়। ধর্ম প্রচারের নামে তারা নাশকতা করেছে। হেফাজত ইসলামের ২০১৩ সালের সমাবেশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত জড়িত। তারা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। তারা মিথ্যা প্রচার করে হেফাজতের শত শত নেতাকর্মী মারা গেছে। কিন্তু পরে তারা এর কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবা জানান, তিন আসামিকে যে মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হলো তা তদন্তাধীন। আপনারা জানেন, কোনো মামলার তদন্ত শুরু হলে তা দ্রুত শেষ করতে হবে। তদন্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করতে হবে। যদি কোনো তদন্ত রিপোর্ট দাখিলে দেরি হয় তাহলে সেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের কাছে লিখিতভাবে অনুমতি নিয়ে বলবেন, কেন দেরি হচ্ছে। আজ সাতটা বছর মামলাগুলো তদন্ত হলো না। চার্জশিট হলো না। তাহলে এ মামলাগুলো কীভাবে রয়েছে। মূলত মামলাগুলো কার্ভপেজ। সরকার মামলাগুলো জিয়িয়ে রেখেছে। হেফাজতের সঙ্গে সরকারের যখন সম্পর্কের অবনতি হয় তখন তাদের ধরে নিয়ে আসবে। আবার যখন জামিন পাবে, স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে আবার ছাড়বে। এসব মামলায় কখনো চার্জশিট হবে বলে আমার মনে হয় না। মামলাগুলো পুরাতন। পুরাতন মামলায় আইন মেনে রিমান্ডে নেওয়া হয়নি। আসামিরা পলাতক ছিলেন না।
সারাবাংলা/এআই/এএম