Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাসা সংস্কারে টাকার উৎস কী? বিপাকে বরিস জনসন


২৮ এপ্রিল ২০২১ ১৭:১৩

ডাউনিং স্ট্রিটের বাসা সংস্কারে অর্থের উৎস কী? এমন প্রশ্নে বিপাকে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টার এক মন্তব্যের পর এ প্রশ্নটি রাজনৈতিক অঙ্গনে জোরেশোরে আলোচনা হচ্ছে। আর এতে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে ফের একবার টালমাটাল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন বরিস জনসন।

যদিও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীদের কার্যালয় লন্ডনের ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট, তবে টনি ব্লেয়ারের আমল থেকেই প্রধানমন্ত্রীরা মূলত ১১ নম্বরের এক বাসায় থাকেন। ওই বাসাটিতে সম্প্রতি সংস্কার কাজ করিয়েছেন বরিস জনসন। চার শয়নকক্ষের ওই বাসার রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় হিসেবে বছরে সরকার ৩০ হাজার পাউন্ড দিয়ে থাকে প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু এর বেশি খরচ হলে প্রধানমন্ত্রীকে নিজের পকেট থেকেই তা পরিশোধ করতে হয়।

বিজ্ঞাপন

বরিস জনসন সম্প্রতি ওই বাসার সংস্কার কাজে ২ লাখ পাউন্ড খরচ করেছেন। ব্রিটেনের প্রখ্যাত ইন্টেরিয়র ডিজাইনার লুলু লাইটলের পরামর্শ নিয়ে সৌন্দর্য বর্ধন করা হয়েছে বাসাটির।

তবে বাসা সংস্কারে বিশাল অঙ্কের ব্যয় পরিশোধ কে করল— সেই প্রশ্ন উঠলে মন্ত্রীরা জানান, বরিস জনসন নিজের গাট থেকেই সে খরচ বহন করেছেনে। পরে বিরোধী লেবার পার্টির রাজনীতিবিদরা বরিস জনসনের এই অর্থের উৎস সম্পর্কে জানতে চান। এদিকে বরিস জনসনের সাবেক এক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ডোমনিক কামিনসের এক সাক্ষাৎকারের পর বিতর্ক নয়া মোড় নেয়।

কামিনস জানিয়েছেন, বাসা সংস্কারের কাজের বিল গোপনে পরিশোধ করবেন এমন কোনো দাতাকে পাওয়া যায় কি না— সে পরিকল্পনা করছিলেন বরিস জনসন। কামিনস বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এ পরিকল্পনা ছিল অনৈতিক, বোকামি, সম্ভবত বেআইনি এবং প্রায় নিশ্চিতভাবেই এটি রাজনৈতিক অনুদানের বিধি ভঙ্গ করে’।

বিজ্ঞাপন

বিরোধী লেবার পার্টি এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী আসলে কী পরিমাণ অর্থ খরচ করেছেন এর সঠিক পরিমাণ ও দাতার নাম প্রকাশের দাবি করেছে।

এদিকে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, বাসাটির সংস্কারে সরকার কোনো টাকা খরচ করেনি। বরিস জনসন তার নিজের পকেট থেকেই এ অর্থ ব্যয় করেছেন।

সরকারের কিছু মন্ত্রীর বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, একজন দাতা বরিস জনসনের এ ব্যয়ভার বহন করতে চেয়েছিলেন। তবে কনজারভেটিভ পার্টি বরিস জনসনকে অর্থ ঋণ দিয়েছিল। ইতিমধ্যে তিনি এই ঋণ পরিশোধ করেছেন।

তবে একটি রাজনৈতিক দল কাউকে তার বাসা সংস্কারের জন্য টাকা ঋণ দিতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে এখনও রয়ে গেছে। কেননা রাজনৈতিক দলের অর্থের উৎস মূলত দাতাদের অনুদান। এছাড়া রাজনৈতিক দলের অনুদান নীতি অনুযায়ী বরিস জনসন ঋণ নিয়ে থাকলেও, তা ঘোষণা করেই নিতে হতো।

এদিকে শেষ খবরে জানা গেছে, ব্রিটেনের ইলেকটোরাল কমিশন পুরো এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তারা বলছে, সম্ভবত এ ঘটনায় কোনো বিধির লংঘন হয়েছে।

টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর