করোনা মহামারি ও রমজানে অসহায়দের জন্য ‘ফ্রি হাট’
২৯ এপ্রিল ২০২১ ০৩:৩৮
সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও চলছে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এরই মধ্যে বৈরী আবহাওয়ায় বোরো ধানের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ক্রয়ক্ষমতা হারানো কৃষক পরিবারের জন্য সাপ্তাহিক ‘ফ্রি হাট’ চালু করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশন’।
মাসব্যাপী চলমান এই হাটে বুধবার (২৮ এপ্রিল) ছিল তৃতীয় হাট। স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়িতে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।
আঠারবাড়িতে প্রতি তিন ফুট দূরত্বে সাজানো স্টলগুলোতে ছিল সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সংগৃহীত টাটকা সবজি, লাউ, টমেটো, কাঁচামরিচ, জ্যান্ত মাছ, পেঁয়াজ, আলু ও খেজুর।
আয়োজকরা জানান, প্রতিটি হাটে আয়োজন থাকে ৫০০ পরিবারের পুরো এক সপ্তাহের বাজারের। আজকের (বুধবার) হাটেও তাদের জন্য ছিল প্রয়োজনীয় বাজার-সদাই।
সম্প্রতি কালবৈশাখী ঝড়, শিলা বৃষ্টি ও গরম বাতাসে এই অঞ্চলের বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারোবাড়ি ইউনিয়নে ‘ফ্রি হাট’ কর্মসূচি পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানালেন কর্মসূচির সমন্বয়ক এ কে এম আজহারুল ইসলাম পলাশ। তিনি বলেন, কর্মহীন মধ্যবিত্ত পরিবারের যারা লোকলজ্জার কারণে সংকোচ বোধ করেন, তাদের জন্য আমরা ফোন কলে সেবা গ্রহণের ব্যবস্থা রেখেছি। মোবাইলে আমাদের জানালে আমাদের স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা প্রয়োজনীয় বাজার বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে।
মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বলেন, পবিত্র রমজান ও মহামারির মধ্যে ক্রয়সামর্থ্যহীন মানুষের জন্য পুরো রমজান মাসে চলমান থাকবে এই হাট। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে সহস্রাধিক পরিবারের জন্য নতুন পোশাক প্রদানের পরিকল্পনাও রয়েছে।
বুধবার এই ‘ফ্রি হাটে’ এসেছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেনও হাটের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
হাটের প্রবেশ পথে হাত জীবাণুমুক্ত করতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়ে প্রত্যেকের তাপমাত্রা নির্ণয় করা হয়। হাটে স্বেচ্ছাসেবী দোকানি ও ক্রেতাদের হাতে ছিল গ্লাভস, মুখে মাস্ক।
সারাবাংলা/টিআর