Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘অল্পবয়সীদের মাঝে সংক্রমণ বেশি, মৃত্যু বেশি ষাটোর্ধ্বদের’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৯ এপ্রিল ২০২১ ০৯:০৫

জাহিদ মালেক, ফাইল ছবি

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ অল্প বয়সের ছেলেমেয়েদের মধ্যে হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের। অল্প বয়সের ছেলেমেয়েরা বাইরে ঘুরে সংক্রমিত হয় এবং বাসায় বয়স্ক লোকদের সংক্রমিত করে। ফলে তারাই মৃত্যুবরণ করছে। এই বিষয়ে সবার সজাগ হওয়া উচিত।

বুধবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ১০টি নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রসহ (আইসিইউ) ১৫০ শয্যার কোভিড-১৯ ইউনিটের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

জাহিদ মালেক বলেন, সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের। তারা তো ঘর থেকে বেশি বাইরে বের হন না, তারপরও তারা সংক্রমিত হচ্ছেন। তরুণ কিশোর-কিশোরীদের সতর্ক হতে হবে। তাদের কারণে যেন বয়স্করা মারা না যান।

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন এলাকার আশপাশে আমাদের সংক্রমণের হার ৮০-৯০ শতাংশ। সেজন্য মৃত্যুর হারও ৮০-৯০ শতাংশ। কাজেই এসব জায়গায় যারা বাস করেন, তাদেরকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, লকডাউনের কারণে যাতায়াত কম হচ্ছে, সব মিলিয়ে সংক্রমণ কমেছে। কিন্তু বাড়তে সময় লাগে না। যদি আমরা বেপরোয়াভাবে চলি, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখি, মাস্ক না পরি, তাহলে আবারও এটা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

মন্ত্রী বলেন, ভারতের মতো অবস্থা আমরা বাংলাদেশে কামনা করি না। ইতোমধ্যে আমরা ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছি। লকডাউন সবসময় দেওয়া সম্ভব হবে না। কারণ এতে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়, মানুষ গরিব হয়ে যায়, সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হয়। লকডাউন একটি সার্বক্ষণিক বিষয় হতে পারে না।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, শপিং সেন্টারগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু একটা বিশেষ নির্দেশনাও আছে। একটা লম্বা সময় দেওয়া হয়েছে যেন ভিড় না হয়। সেখানে আমাদেরই দায়িত্ব মাস্ক পরে যাওয়া এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে কেনাকাটা করা। শপিং করা না করা এটা আমাদের নিজেদের বিষয়। আমরা সেই ভিড়ের মধ্যে যাব কি না সেটা আমাদের উপর নির্ভর করে। কাজেই আমরা ঝুঁকি নেবো কি না এবং আমাদের পরিবারকে সেই ঝুঁকিতে ফেলবো কিনা, এটা আমাদের ওপরে অনেকটা নির্ভর করে। কাজেই আমি মনে করি, এই বিষয়ে আমাদের সবারই কাজগুলো সচেতন হয়ে করা দরকার।

অক্সিজেন বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে গত এক সপ্তাহ ধরে অক্সিজেন পাচ্ছি না। কিন্তু আমরা তো চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, লিকুইড অক্সিজেনের পাশাপাশি আমরা গ্যাস অক্সিজেন সরবরাহ করছি। তাছাড়া মজুতেরও ব্যবস্থা করেছি। এখন আমরা ভালো আছি, তবে আমরা চাই না, রোগী আরও ৩ গুণ বেড়ে যাক। তখন কিন্তু সমস্যায় পড়ে যাবো।

তিনি বলেন, আমাদের সংক্রমণের হার ২৪ শতাংশে উঠে গিয়েছিল, সেটা এখন ১২ শতাংশে নেমে এসেছে। এটা অনেকটা আশার আলো যে কমছে। আমরা চাই, এটা আরও কমুক, মৃত্যুর হারও কমে আসুক।

অনলাইনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাইদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।

সারাবাংলা/এসবি/এসএসএ

টপ নিউজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বিপদসীমার ওপরে পানি, ৪৪ জলকপাট খোলা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০৬

তৃতীয় দিনের খেলাও পরিত্যক্ত
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৪

সিটিকে সরিয়ে শীর্ষে লিভারপুল
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২০

পদ্মায় কমেছে পানি, থামছে না ভাঙন
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১৯

সম্পর্কিত খবর