Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উপকূলের ৬১ সাইক্লোন শেল্টার সংস্কার করে দিলো যুক্তরাষ্ট্র

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৯ এপ্রিল ২০২১ ১৯:২৫

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মৌসুমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র এবং অন্য সময় স্কুল হিসেবে ব্যবহারের জন্য উপকূলীয় ৬১টি সাইক্লোন শেল্টার সংস্কার করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)।

ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে এক বার্তায় জানান হয়, ১৯৯১ সালে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের ৩০তম বার্ষিকীতে ৬১টি মাল্টি-পারপাস সাইক্লোন শেল্টার (এমপিসিএস) সংস্কার শেষে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছে।

বিজ্ঞাপন

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইউএসএআইডি বাংলাদেশ ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর মিলান পাভ্লোভিচের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান।

এই মাল্টি-পারপাস সাইক্লোন শেল্টারগুলো ব্যবহার করা যাবে দুটি উদ্দেশ্যে। বছরের বেশিরভাগ সময় এগুলো ব্যবহৃত হবে স্কুল হিসেবে এবং ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মৌসুমে ব্যবহৃত হবে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় এ সরকারি এমপিসিএসগুলোতে আশ্রয় নিতে পারবে ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ এবং এগুলো বাংলাদেশের মানুষের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের অঙ্গীকারের একটি সাম্প্রতিক নিদর্শন।

ইউএসএআইডির ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর পাভ্লোভিচ বলেন, ‘১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের বার্ষিকীতেএই পুনর্নির্মিত ও সংস্কারকৃত মধ্য চকরিয়া সরকারি এমপিসিএস হস্তান্তর করতে পেরে আমি খুবই সম্মানিত বোধ করছি। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা তৈরিতে সহায়তা এবং স্কুলের পুনর্গঠনে অবদান রাখতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র সরকার গর্বিত। এই উদ্যোগের ফলে স্থানীয় শিশুরা, শিশুবান্ধব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নত শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়নিরাপদ একটি আশ্রয় পাবে।’

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান বলেন, ‘ইউএসএআইডির অর্থায়নে কেয়ার ও সেভ দ্য চিলড্রেন এই ৬১টি স্থাপনা সংস্কারের কাজ করেছে। তবে আমরা, আমাদের এই স্থানীয় জনগোষ্ঠীই এগুলোর সত্যিকারের মালিক। আমরা যদি এগুলোর যত্ন নিতে পারি, তাহলে জরুরি অবস্থার সময় এগুলোও আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে।’

২০০১ সাল থেকে শুরু করে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৫০০-র বেশি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার, যেগুলো ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে ৯ লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় দেবে। কক্সবাজার ও বান্দরবানে আরও ২৫টি নতুন মাল্টি-পারপাস ডিজাস্টার শেল্টার (এমপিডিএস) নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু করবে ইউএসএআইডি। ২০২১ সালেই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে কেয়ার, সেভ দ্য চিলড্রেন ও স্থানীয় সহযোগী সংস্থা গ্রাউসের মাধ্যমে।

স্বাধীনতার পর থেকে ইউএসএআইডির মাধ্যমে, বাংলাদেশের উন্নয়নে ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। খাদ্যনিরাপত্তা বাড়ানো ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও চর্চার প্রসার, পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহনশীলতা বাড়ানোর মতো কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ২০২০ সালে ইউএসএআইডি একাই ২০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা দেয়।

সারাবাংলা/জেআইএল/একে

উপকূল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাইক্লোন শেল্টার

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর