Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফুটপাতে ফেলে যাওয়া নবজাতকের ঠাঁই হলো পুলিশের ঘরে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৯ এপ্রিল ২০২১ ২২:২৩

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম নগরীতে জন্মের পর ফুটপাতে ফেলে যাওয়া নবজাতকটির ঠাঁই হয়েছে নিঃসন্তান এক দম্পতির ঘরে। এক পুলিশ কর্মকর্তা শিশুটিকে দত্তক নিয়েছেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ শিশুটিকে ওই দম্পতির কাছে হস্তান্তর করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর মাহমুদ।

বিজ্ঞাপন

গত ২৪ এপ্রিল গভীর রাত পৌনে দুইটার দিকে নগরীর চকবাজার থানার ওয়াসা মোড়ে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে সদ্যভূমিষ্ঠ ওই কন্যাশিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। মামুন নামে স্থানীয় এক যুবক তার বাসার সামনে ফুটপাতে নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনতে পান। এরপর তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ট্রিপল নাইনে ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন। সেখান থেকে তথ্য পাওয়ার পর পুলিশ গিয়ে নবজাতককে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশের পক্ষ থেকে শিশুটির সার্বিক দায়িত্ব পালন করা হয়।

ওসি আলমগীর মাহমুদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসা ও পরিচর্যার পর শিশুটি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। এর মধ্যে জিডিমূলে আমরা আদালতে নবজাতকের বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করি। নিঃসন্তান এক দম্পতি তাকে দত্তক নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন। বুধবার চট্টগ্রামের পঞ্চম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওসমান গণি ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে ওই দম্পতির কাছে শিশুটিকে হস্তান্তরের আদেশ দেন। আমরা আজ (বৃহস্পতিবার) শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে ওই দম্পতির কাছে দিয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

ওসি আরও জানান, শিশুটিকে দত্তক নেওয়া ব্যক্তির বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। তিনি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদমর্যাদার কর্মকর্তা।

২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে নগরীর আকবর শাহ থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়ও পরিত্যক্ত অবস্থায় এক নবজাতক উদ্ধার করেছিলেন আলমগীর মাহমুদ। পরে আদালতের মাধ্যমে সেই ছেলে শিশুটিকেও এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে দেওয়া হয়। শিশুটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘একুশ’।

সর্বশেষ উদ্ধার করা কন্যা শিশুটির নাম ‘রোজাইয়া রাত্রি’ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চকবাজার থানার ওসি আলমগীর মাহমুদ।

সারাবাংলা/আরডি/একে

দম্পতি নবজাতক শিশু

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর