সীমাহীন লুটপাটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা মিলছে না: বাম জোট
২৯ এপ্রিল ২০২১ ২৩:২৯
ঢাকা: বাম গনতান্ত্রিক জেটের নেতারা বলেছেন,স্বাস্থ্যখাতে সমন্বয়হীনতা ও সীমাহীন দুর্নীতি লুটপাট জনগণের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। কে করোনায় আক্রান্ত, কে আক্রান্ত না, কে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তা জানা যাচ্ছে না। তাই আমরা দাবি করেছি গণহারে অর্থাৎ প্রতিদিন কমপেক্ষ ১ লাখ করোনা টেস্ট করাতে হবে।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে এ সব কথা বলেন।
বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুলাহ কাফি রতন, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা মানস নন্দী, ইউসিএলবি নেতা নজরুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের বাচ্চু ভূইয়া, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহীদুল ইসলাম সবুজ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের হামিদুল হক। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাম জোট ঢাকা নগরের সমন্বয়ক বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান লিপন। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আকবর খান, বাসদ (মার্কসবাদী)’র ফখরুদ্দিন কবীর আতিক, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের রুবেল শিকদার।
সমাবেশে নেতারা বলেন, সিএমএসডি গত ৮ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়ে বলেছে ১৫/২০ দিনের করোনা পরীক্ষা কীট আছে অথচ স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে কীটের ঘাটতি নাই। তাহলে কোনটা ঠিক। জনগণ কোনটা বিশ্বাস করবে। করোনা মোকাবেলা করতে হলে সঠিক তথ্য জনগণকে জানাতে হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্তেই বেরিয়েছে সরকারি ৯ হাসপাতালে ৩৭৫ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। ৩৫০ টাকার কম্বল আড়াই হাজার টাকায় কেনা হয়েছে। অথচ আজ পর্যন্ত কোনো দুর্নীতির বিচার না হওয়ায় স্বাস্থ্যে দুর্নীতি লাগামহীনভাবে বেড়ে গেছে। নেতারা স্বাস্থ্যে দুর্নীতি বন্ধ এবং দুর্নীতির সাথে যুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
নেতারা বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিয়েও সরকারের সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল তা এখন প্রমাণিত। একটি মাত্র উৎসের ওপর নির্ভর করা মোটেও সমীচীন হয়নি। আর সরকার সরাসরি চুক্তি না করে বেক্সিমকোকে বাণিজ্য করার সুবিধা দিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যেই তা বেরিয়ে এসেছে।
বাম জোটের নেতারা বেক্সিমকোর বিরুদ্ধে সরকারকে মামলা করার দাবি জানান একই সাথে সুপ্রিমকোর্টের বিচারকদেরকেও এ ব্যাপারে সুয়োমটো মামলা করার আহ্বান জানান।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ সীমান্তে স্থল বন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকের ড্রাইভার-হেলপারদের সীমান্ত এলাকায় অবাধ চলাচলে করোনার ভারতীয় নতুন ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জোর দাবি জানান।
বিশেষজ্ঞদের মতামত সাপেক্ষে প্রয়োজনে দুই সপ্তাহ স্থল বন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহনও বন্ধ করা যায় কিনা তা বিবেচনা করার দাবি জানান বাম জোটের নেতারা।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে