২ বছর ধরে বেহাল অবস্থায় কালভার্ট, বিপাকে হাওরের কৃষক
৩০ এপ্রিল ২০২১ ১৩:৩৮
সুনামগঞ্জ: জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের মাটিয়ান গ্রাম-সংলগ্ন পুঁটিমারা কান্দায় হাওরের গুরুত্বপূর্ণ কালভার্ট গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। ওপরে পাটাতন না থাকায় বাঁশ ফেলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন এলাকার মানুষ। ধান পরিবহন করতে গিয়ে মাটিয়ান হাওরের ১০টি গ্রামের মানুষসহ কয়েক হাজার কৃষক বিপাকে পড়েছেন এই ভাঙা কালভার্টের জন্য।
জানা গেছে, মাটিয়ান হাওরের শিবরামপুর, শ্রীপুর, তরং, নয়াবন্দ, বেতাগড়াসহ ১০ গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক বোরো ফসল রোপণ ও উত্তোলনকাজের জন্য যাতায়াত করে থাকেন বাঁশের এই কালভার্ট দিয়ে। অনেক ভারী পরিবহন ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে থাকে এই কালভার্ট দিয়ে। তবে এটি ভেঙে যাওয়ায় ধান বহন করার ট্রলি, মাড়াই মেশিন, ঠেলাগাড়িসহ কৃষি যন্ত্রপাতি হাওরে নিয়ে আসা যাচ্ছে না। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাওরের কয়েক হাজার কৃষককে।
স্থানীয় কৃষক কামরুল মিয়া বলেন, আমরা প্রতিবছর বোরো ফসল উৎপাদন করি এই হাওরে। ফসল কাটা-মাড়াই শুরু হতে না হতেই বাঁশের এ কালভার্টটি প্রতিবছরই আমাদের যাতায়াতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কৃষিকাজ করেই আমরা কোনো রকম জীবিকা নির্বাহ করি। দুই বছর ধরে আমরা এমন দুর্ভোগে আছি, যেন দেখার কেউ নেই।
আরেক কৃষক নয়ন দাস বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজে আসতে যেতে খুব অসুবিধা হয়। বাঁশের এ কালভার্টটি প্রতিবছরই আমাদের যাতায়াতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. আলী হোসেন জানান, হাওরের ফসল নিয়ে যাওয়ার জন্য বাঁশ ও মাটি দিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কয়েকবার কাজ করা হয়েছে। মাড়াই করা ধান ট্রলি দিয়ে বহন করা যায় না বাঁশের ওপর দিয়ে। এমনকি ঠেলাগাড়ি দিয়ে ধান পরিবহন করা হলেও বাঁশ ভেঙে যায়। দ্রুত এর সমাধান করার জন্য বলব।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহ বলেন, কৃষকদের হাওর থেকে ধান পরিবহন করতে সমস্যা হয় কালভার্টের কারণে। দ্রুত এই কালভার্টটি মেরামত করা হবে।
সারাবাংলা/এনএস