Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এ সপ্তাহেই গণমাধ্যমকর্মীদের বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি ডিইউজে’র

স্পেশাল করেসপন্ডেট
৩০ এপ্রিল ২০২১ ২১:৪৫

ঢাকা: করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘ভয়াল সুনামি’ বলে অভিহিত করছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু। তারা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে মে দিবস উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা কমে এলেও শ্রমিক ও সাংবাদিকদের রক্ত-ঘামে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের চেতনা নিয়ত প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থায় ঈদুল ফিতরের আগে চলতি সপ্তাহেই সাংবাদিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) গণমাধ্যমে এক পাঠানো বিবৃতিতে দুই সাংবাদিক নেতা এ কথা বলেন। বিবৃতিতে তারা চলমান বাস্তবতায় গণমাধ্যমকর্মীদের দুর্বিষহ পরিস্থিতির কথাও তুলে ধরেন।

বিবৃতিতে কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠার রক্তরাঙা এই দিনেও অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে— সংবাদমাধ্যমে ঘটে চলেছে একের পর এক সাংবাদিক স্বার্থবিরোধী যজ্ঞ। চলছে বেপরোয়া ছাঁটাই, বেতন-ভাতা কমিয়ে দেওয়া কিংবা সময়মতো বেতন পরিশোধে ইচ্ছাকৃত অনীহা করা হচ্ছে। এ কারণে করোনাভাইরাসের আগ্রাসী সুনামির মুখে জীবনহানির সমূহ ঝুঁকির মধ্যেও দায়িত্ব পালন করে যাওয়া সাংবাদিকদের জীবন আজ হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ।

বিবৃতিতে নেতারা অবিলম্বে এ ধরনের অপতৎপরতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এরই মধ্যে ৬০ জন পেশাদার সাংবাদিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। অনেক সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত। প্রচণ্ড স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যেও জরুরি পেশা হিসেবে গণমাধ্যমকর্মীরা কাজ করে গেলেও বহু প্রতিষ্ঠান সাংবাদিক-কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন-ভাতা পরিশোধে টালবাহানা করছে। প্রথম কাতারের দাবিদার একাধিক সংবাদপত্র ও টিভি মিডিয়া ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসের বেতন বকেয়া রেখেছে। এমনকি, বহু প্রতিষ্ঠানে পাঁচ-ছয় মাস বা তার চেয়েও বেশি বকেয়াও আটকে রেখেছে।

সাংবাদিক নেতারা বলেন, শ্রম আইনে এটি অন্যায়, অমানবিক ও অপরাধের সামিল। তার ওপর নানা অজুহাত দেখিয়ে করোনাকালে সাংবাদিক ছাঁটাই করা হচ্ছে। শিল্পে তৈরি করা হয়েছে এক ধরনের অস্থিরতা।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে ডিইউজে নেতারা ঈদের আগে চলতি সপ্তাহের মধ্যে বেতনসহ পরিপূর্ণ বোনাস প্রদানের দাবি জানিয়ে বলেন, তা না হলে এই শিল্পের যেকোনো ধরনের অস্থিরতার দায়-দায়িত্ব সংবাদমাধ্যমের মালিকদের বহন করতে হবে। প্রয়োজনে এবারও ঈদের দিনে ‘অবস্থান ধর্মঘট’ করে গোটা বিশ্ববাসীর কাছে জানিয়ে দিতে হবে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের মালিকেরা কতটা হিংস্র ও বেহায়া।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

ডিইউজে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর