‘পিতার মতো বঙ্গবন্ধুকন্যারও লক্ষ্য শ্রমজীবী মানুষের মুক্তি’
১ মে ২০২১ ১৫:২১
ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষিত, বঞ্চিত, মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করে তার কন্যা শেখ হাসিনাও শোষিত শ্রমজীবী মানুষের মুক্তিকে লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
শনিবার (১ মে) নিজের সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। এসময় তিনি মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমজীবী মানুষের মুক্তির লড়াইয়ের প্রত্যয় জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শ্রমিকদের লড়াই, সংহতি, দৃঢ়তা ও রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনা অর্জিত বিজয় দিবসই মে দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগেই বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ২২ জুন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে। একই দিনে বাংলাদেশ আইএলও’র ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করে, যা ছিল এক বিরল ঘটনা।
তিনি বলেন, শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে ২৭ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু সরকার প্রথম শ্রমনীতি ঘোষণা করেন, যেখানে মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক উন্নয়ন, শিল্পের শান্তি ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ সুরক্ষা ও কল্যাণের প্রতি জোর দেওয়া হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত ও মেহনতি মানুষের অধিকার রক্ষায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার সরকার শ্রমিকবান্ধব সরকার। শিশুশ্রম নিষিদ্ধ ও শ্রম আইন বাস্তবায়ন থেকে শুরু করে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি এবং কৃষি শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করার ব্যবস্থা করেছে সরকার।
এসময় ঈদের আগেই বিভিন্ন কলকারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে পুঁজি করে বিএনপি অপরাজনীতি করছে অভিযোগ করে কাদের বলেন, তবে করোনা নিয়ে বিএনপি যতই অপপ্রচার করুক, জনগণ তাদের বিশ্বাস করে না। শেখ হাসিনার মানবিক নেতৃত্বের প্রতি জনগণের আস্থা অবিচল। জনগণের প্রতি সুদৃঢ় কমিটমেন্ট থেকেই সরকার সংক্রমণ রোধ ও চিকিৎসায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। করেনাকে পুঁজি করে যারা অপপ্রচারের বাণিজ্য করছে, তারাই প্রকারান্তরে নানা অনিয়মের প্রশ্রয়দাতা।
তার নামে ফেসবুকে একাধিক আইডি থাকার প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার নামে ২০১টি ভুয়া আইডি দেখা যাচ্ছে। এসব ভুয়া আইডি থেকে কে বা কারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভিন্ন বক্তব্য ও ছবি আপলোড করছে। এটা কোনোভাবেই আইনসিদ্ধ নয়। প্রকৃতপক্ষে আমি যে আইডি ব্যবহার করছি, সেটি ভেরিফাইড ফেসবুক আইডি। এই আইডির বাইরে অন্য কোনো আইডি থেকে প্রচারিত বক্তব্য, ছবি বা অন্য কিছু থেকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান তিনি।
সারাবাংলা/এনআর/টিআর