ঢাকা: গত ২৪ ঘণ্টায় নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড ১৯) আক্রান্ত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে ১ হাজার ৪৫২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫৭ জন মারা যায়। আরও ওইদিন ২১৭৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
শনিবার (১ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তি বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৪২০টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই সময়ে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৪ হাজার ৮২১টি। আগের দিনেরসহ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১৫ হাজার ১১৭টি। গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ৫৪ লাখ ৮৪ হাজার ৮২১টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা নমুনার মধ্যে ১ হাজার ৪৫২টি নমুনায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১১৭। গত ২৪ ঘণ্টার করোনা সংক্রমণসহ এ নিয়ে দেশে ৭ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৪ জন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৪৫ জন। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হলেন মোট ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৬৭১ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন ৬০ জন। এদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ নিয়ে দেশে মোট ১১ হাজার ৫১০ জনের মৃত্যু হলো। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত এই ৬০ জনের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ, ২৩ জন নারী। এদের মধ্যে ৩৭ জন ষাটোর্ধ্ব, ১০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, সাতজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর। এছাড়া ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন দুজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৬০ জন মারা গেছেন, তাদের ২৮ জনই ঢাকা বিভাগের, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৯ জন, রাজশাহী ও খুলনার পাঁচজন করে। এছাড়া বরিশালের একজন ও রংপুরের দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে সিলেট ও ময়মনসিংহে করোনা আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র বলছে, শনিবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সারাদেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন মোট ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৮ জন। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ২৯১ জন। এ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নিয়েছেন ২৮ লাখ ৫ হাজার ৬৯৪ জন।