ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি শ্রমিক ফ্রন্টের
১ মে ২০২১ ১৭:৩৫
ঢাকা: সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতরা বলেছেন, বাংলাদেশে কৃষি, শিল্প ও সেবা খাত মিলে ৬ কোটি ৮০ লাখ শ্রমিক দিনরাত পরিশ্রম করেও নিজেদের দারিদ্র্য দূর করতে পারছেন না। অন্যদিকে কয়েক লাখ কোটিপতির জীবনে বিলাসিতার শেষ নেই। শ্রমিকদেরকে শোষণ করেই তাদের এই সম্পদের মালিক হয়েছে। শ্রমিকরা সচেতন হলে এই অন্যায় শোষণের বিরুদ্ধে তারা লড়বে, এটা মালিকরা জানে। সে কারণে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার পথে নানা জটিলতা সৃষ্টি করে রেখেছে।
শনিবার (১ মে) ১৩ তম মে দিবস পালন উপলক্ষে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের উদ্যোগে তোপখানা রোডে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশ নেতারা এসব কথা বলেন। সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, কোষাধ্যক্ষ জুলফিকার আলী, পাকির আলী, রাশেদুর রহমান, রুবেল মিয়া, ফারুক হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, শ্রম আইন, বিধিমালা, প্রশাসন, পুলিশ, মাস্তান, শ্রমিকনেতা নামধারী একদল দালালদের ব্যবহার করে মালিক পক্ষ শ্রমিকদের সংগঠিত হতে বাধা দেয়। কারণ, সংখ্যায় বেশি হলেও অসংগঠিত শ্রমিক সবসময় দুর্বল ও অসহায়। মে দিবস এই শিক্ষা দেয়- শ্রমিকের দাবি যতই ন্যায্য হোক না কেন, লড়াই ছাড়া তা আদায় করা যায় না। মালিক এবং পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের কাছে দয়া বা করুণা চেয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। সাধারণ মানুষের ওপর পুঁজির মালিকের শোষণ উচ্ছেদ করেই কর্মঘণ্টা কমানো এবং ন্যায্য মজুরির দাবি আদায় করতে হবে।
নেতারা চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিদ্যুৎকেন্দ্রে গুলিকরে শ্রমিক হত্যার বিচার, শ্রমিকের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, শ্রমিক ছাটাই, হয়রানি-নির্যাতন বন্ধ, শ্রমজীবী কার্ড প্রবর্তণ করে শ্রমিকদের আর্মি রেটে রেশন ও বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান, করোনাকালে কর্মরত শ্রমিকদের ঝুঁকি ভাতা প্রদানের দাবি জানান। এছাড়া বাজার দর ও মাথাপিছু আয় বিবেচনা করে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা ঘোষণাসহ স্কপের ৯ দফা বাস্তবায়ন, শ্রম আইনের শ্রমিক স্বার্থবিরোধী ধারাগুলো বাতিল, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন ও দরকাষাকষির অধিকার, কর্মক্ষেত্রে নিহত শ্রমিকের আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণের আইন প্রণয়নের দাবি জানান তারা।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম
