ভ্যাকসিন ইস্যুতে ওয়াশিংটনের বার্তার অপেক্ষায় ঢাকা
২ মে ২০২১ ২০:১৯
ঢাকা: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে ওয়াশিংটন থেকে যেকোনো মুহূর্তে ভ্যাকসিন সহযোগিতাবিষয়ক বার্তা প্রত্যাশা করছে ঢাকা। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভ্যাকসিন বিষয়ে সহযোগিতা চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কূটনৈতিকভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। ঢাকার পক্ষ থেকে বলা হয়, অনুদান অথবা কিনে নেওয়া, যেভাবেই হোক যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যাকসিন সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ। এ বিষয়ে যেকোনো সময় তাদের কাছ থেকে জবাব পাওয়ার প্রত্যাশা করছে ঢাকা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রোববার (২ মে) সারাবাংলাকে এ তথ্য জানিয়ছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত ঢাকা সফরে এসে ভ্যাকসিন সহযোগিতার কথা বলেছিলেন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ভারত এবং ব্রাজিলকে সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশও এখন করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ওয়াশিংটনের কাছে কোনো সহযোগিতা চাচ্ছে কি না?
জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘জন কেরি ঢাকা সফরে এসে বলেছিলেন, নির্দিষ্ট পরিমাণ আমেরিকানদের ভ্যাকসিন দেওয়া শেষে তারা অবশিষ্ট ভ্যাকসিন বাকি দেশগুলোকে দিয়ে সহযোগিতা করবে। আমরা সম্প্রতি জেনেছি তাদের কাছে অ্যাস্ট্রেজেনেকার ৬০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে, যা তারা ব্যবহার করছে না। এটা জানার পরপরই আমরা তাদের কাছে ভ্যাকসিন সহযোগিতা চেয়ে অনুরোধ করে কূটনৈতিকপত্র লিখেছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে লিখেছি যে, তোমরা যদি ব্যবহার না কর তবে আমাদের দিয়ে সহযোগিতা কর। তাদের আরও বলেছি, এই সহযোগিতা তোমরা অনুদান হিসেবে দিতে পার অথবা আমাদের কাছে বিক্রিও করতে পার। আমরা এই প্রস্তাব তাদের পাঠিয়েছি।’
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এরই মধ্যে জেনেছি যে, তারা অগ্রাধিকার দেশ হিসেবে ভারত এবং ব্রাজিলকে আগে ভ্যাকসিন সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেননা সেখানে অনেক লোক মারা যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের প্রস্তাবের বিপরীতে তারা এখনও কিছু জানায়নি। তবে আমরা যেকোনো সময় তাদের কাছ থেকে জবাব পাওয়ার আশা করছি।’
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে করোনার ভ্যাকসিন আনার চেষ্টা চলছে বলে সারাবাংলাকে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা সরঞ্জাম সংক্রান্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের একজন ব্যবসায়ী আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। তার নাম প্রকাশ করতে চাই না। তিনি বলেছেন, তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বাইডেনের কার্যালয় এবং আমেরিকানদের যোগাযোগ আছে। তারা সেখান থেকে ভ্যাকসিন আনতে চায়। আমি বলেছি, আনেন। কোনো অসুবিধা নাই, আমরা কিনে নিব। কিন্তু অনুদান দিলে স্বাগত জানাব। আর অনুদান না দিলে, বিক্রি করতে চাইলেও আমরা কিনে নেব। ভ্যাকসিনের জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী ১০ হাজার কোটি টাকার অনুমোদন দিয়ে রেখেছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি ওই ব্যবসায়ীকে বলেছি, মুখে মুখে আলাপ করে লাভ নেই। আপনি আগে কমফার্ম করেন। সেন্ড আস এ রিটেন যে, আপনি কত মিলিয়ন আনতে পারবেন। আর আমাদের দেশে এক লাখ, দুই লাখ দিয়ে লাভ নেই। আমাদের মানুষ বেশি। আমরা মিলিয়নস চাই।’
সারাবাংলা/জেআইএল/পিটিএম