নদীতে নদীতে ইলিশ ধরা উৎসব শুরু
২ মে ২০২১ ২০:১৭
ঢাকা: টানা দুইমাস বন্ধ থাকার পর নদীতে ইলিশ মাছ ধরা শুরু হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় জেলেদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তাই উৎসবের আমেজে পদ্মা, মেঘনাসহ ইলিশ সমৃদ্ধ নদ-নদীতে মাছ ধরছেন জেলেরা।
রোববার (২ মে) ফরিদপুর ও চাঁদপুরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইলিশের আহরণের যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল তা গত (৩০ এপ্রিল) শেষ হওয়ায় ওইদিন মধ্যরাত থেকে জেলেরা মাছ শিকার শুরু করেছেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ইলিশ সম্পদের উন্নয়নে জাটকা সংরক্ষণের জন্য গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৬০ দিন দেশের বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালীসহ ছয় জেলার ৫টি ইলিশ অভয়াশ্রমে সবধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। অভয়শ্রামগুলো হলো- ভোলার ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর চররুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার, চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত, মেঘনা নদীর নিম্ম অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার এলাকা, বরিশালের কাজলা, মেহেন্দিগঞ্জ ও বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর, গজারিয়া ও মেঘনা নদীর প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা, ভোলার মদনপুর, চর ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর শাহবাজপুর শাখা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকা। এছাড়া শরীয়তপুরের নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ উপজেলার পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকায়ও দুই মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল।
এসব এলাকায় মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালীন তালিকাভুক্ত ২ লাখ ৪৩ হাজার ৭৭৮ জন জেলের জন্য মাসে ৪০ কেজি করে দুই মাসে ৮০ কেজি চাল দেয় সরকার। পাশাপাশি এ সময়ে আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডের কথা বলা হয়েছিল আদেশে।
উল্লেখ্য, ইলিশের উৎপাদনেও অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ। উৎপাদন বাড়াতে প্রতিবছর মার্চ ও এপ্রিল দুই মাস জাটকা রক্ষায় ও মা ইলিশ আহরণ বন্ধ রাখা হয়।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম