চমেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত
২ মে ২০২১ ২০:৪৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চারদিন পর কর্মবিরতি স্থগিত করে কাজে যোগ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। চমেক ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারির জেরে তাদের একাংশ কর্মবিরতিতে গিয়েছিল, যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, কর্মবিরতির কারণে রোগীদের চিকিৎসা সেবায় তেমন কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি।
রোববার (২ মে) দুপুরে কলেজ ও হাসপাতাল কতৃর্পক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে কর্মবিরতি স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বৈঠকে পুলিশ কর্মকর্তারাও ছিলেন।
গত ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যার পর থেকে চমেক ক্যাম্পাসে ও ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, হাতাহাতি-মারামারি হয়। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন। আহতদের মধ্যে দুজন ইন্টার্ন চিকিৎসকও। সংঘাতে জড়িত দু’গ্রুপ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
সংঘাতের জেরে পরদিন থেকে আকস্মিকভাবে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একাংশ, যারা সাবেক মেয়র নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। করোনাকালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রাখা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন কর্মবিরতি আহ্বানকারীরা।
এ ঘটনার পর গত ৩০ এপ্রিল উভয় গ্রুপের পক্ষ থেকে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়। উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারী চমেকের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র রিয়াজুল ইসলাম জয় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এতে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এরপর দুপুরে চমেক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের সঙ্গে কর্মরিবতি আহ্বানকারীদের সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠকের পর তারা কাজে যোগ দেন।
ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মো. ওসমান গণি বলেন, ‘আমরা তিনদিনের জন্য কর্মসূচি স্থগিত করেছি। তিনদিনের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার, নিরাপত্তাসহ দাবিগুলো পূরণের আশ্বাস কতৃর্পক্ষ আমাদের দিয়েছে। তিনদিনের মধ্যে যদি দাবি পূরণ না হয় তাহলে পুনরায় কর্মবিরতিতে যাব।’
সারাবাংলা/আরডি/একে