ঢাকা: ১০ শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক রাখার বিধান দিয়ে বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ আইন-২০২১ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। একইসঙ্গে কলেজের নিজস্ব ক্যাম্পাস এবং সর্বোচ্চ তিন কোটি টাকা সংরক্ষিত তহবিল হিসেবে জমা থাকার কথা বলা হয়েছে নতুন আইনে।
সোমবার (৩ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই আইনটির বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘খসড়া আইনটিতে প্রতিটি বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে কমপক্ষে ৫০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের অনুপাত হবে ১০:১। আরও বলা হয়েছে, মেট্রোপলিটন এলাকায় মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের নামে দুই একর এবং অন্যান্য এলাকায় এর দ্বিগুণ জমি থাকতে হবে। মেডিকেল কলেজের নামে তফসিলি ব্যাংকে তিন কোটি টাকা এবং ডেন্টাল কলেজের ক্ষেত্রে দুই কোটি টাকা সংরক্ষিত তহবিল হিসেবে জমা থাকতে হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কার্যক্রমের জন্য কমপক্ষে এক লাখ বর্গফুট, হাসপাতাল পরিচালনার জন্য আরো এক লাখ বর্গফুট অবকাঠামো সুবিধা থাকতে হবে। আর ডেন্টাল হাসপাতালের জন্য রাখতে হবে ৫০ হাজার বর্গফুট। এছাড়া বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ পরিদর্শনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। মেডিকেল বর্জ্য বৈজ্ঞানিক উপায়ে ব্যবস্থাপনা করতে বলা হয়েছে আইনে। কেউ এর ব্যতয় ঘটালে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং দশ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডে দন্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে খসড়া আইনে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আইনটির খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। পরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই শেষে এবার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলো।