সংঘর্ষের কারণ জানেন না আহত স্পিডবোট চালক
৪ মে ২০২১ ২০:০৭
ঢাকা: পদ্মা নদীতে বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত স্পিডবোট চালক শাহ আলমকে (৩৮) ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেছে তার পরিবার।
মঙ্গলবার (৪ মে) ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া পুলিশের তরফ থেকে এ তথ্য সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, শাহ আলমকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয় ভোরে। অর্থপেডিকস ওয়ার্ডে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেঝেতে সিট পেয়েছেন স্পিডবোট চালক শাহ আলম। সঙ্গে তার মা আলেয়া বেগম। মাথায় ও দুই হাতে ব্যান্ডেজ করা তার।
চালক শাহ আলমের সঙ্গে কথা বলার চেস্টা করেন এই প্রতিবেদক। শাহ আলম অস্পষ্ট ভাষায় জানায়, ২১ বছর যাবৎ তিনি স্পিডবোট চালানোর পেশায় রয়েছেন। কোনো দিন কোনো দুর্ঘটনার কবলে পড়েননি। কিন্তু, সেদিনের দুর্ঘটনা কেন হল তা তিনি নিজেও বলতে পারেন না। দুর্ঘটনার পর তিনি কিভাবে উদ্ধার হলেন তাও জানেন না।
জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর তিনি নিজেকে শিবচরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবিষ্কার করেন। পরে ফোনে কথা বলে পরিবারের লোকজনদের বিষয়টি জানান।
শাহ আলমের মা আলেয়া বেগম জানান, বরিশালের আগৈলঝড়ায় তাদের পৈত্রিক নিবাস। তার তিন ছেলে দুই মেয়ে। বর্তমানে তারা নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এলাকায় থাকেন। শাহ আলমের স্ত্রী দুই সন্তানসহ চাঁদপুরে থাকেন। শাহ আলম মাওয়া ঘাটেই থাকতো। শাহ আলমের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ ছিল না। তিনি লোকমুখে শুনেছেন তার ছেলে মাওয়া ঘাটে স্পিডবোট চালায়।
আলেয়া বেগম আরও জানান, সোমবার দুপুরে একজনের ফোনকল মারফত খবর পেয়ে শিবচরের একটি হাসপাতলে গিয়ে আহত অবস্থায় পান শাহ আলমকে।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নিউরোসাইন্স হাসপাতাল তাকে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরে আবার ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়।
এর আগে সোমবার সকালে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের কাঁঠালবাড়ী ঘাট সংলগ্ন এলাকায় স্পিডবোটের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষে ২৬ জনের মৃত্যু হয়।
সারাবাংলা/এসএসআর/একেএম