ফের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় হেফাজত নেতারা
৪ মে ২০২১ ২৩:১৮
ঢাকা: দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ফের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসায় গেছেন হেফাজতে ইসলামের সদ্যবিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানও উপস্থিত আছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৪ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবনে প্রবেশ করেন হেফাজতের আট নেতা। তাদের নেতৃত্বে রয়েছেন সংগঠনটির সদ্যবিলুপ্ত কমিটির মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী।
জানা গেছে, হেফাজতে ইসলামের প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে রয়েছেন দেওয়ানার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, মাওলানা আতাউল্লাহ আশরাফ, মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি জসিমউদ্দিন। তবে মন্ত্রীর বাসায় প্রবেশের মুখে গণমাধ্যমকর্মীরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও তারা কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এর আগে, গত ১৯ এপ্রিলও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা। হেফাজতে ইসলামের ওই সময়কার মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম, নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক, হেফাজত নেতা ও খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, তার ভাতিজা মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজীসহ কমপক্ষে ১০ নেতা সেদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে সেদিনও কী বিষয় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তারা আলোচনা করেছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত বলেননি।
এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল রাতে আচমকা হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন ওই কমিটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে অবশ্য আহ্বায়ক কমিটিও ঘোষণা করা হয়। তবে এই আহ্বায়ক কমিটির কোনো কার্যক্রম এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি।
এদিকে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনকের জন্মশতবর্ষের আয়োজনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ আগমনকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতা দিবসের আগে-পরে দেশব্যাপী সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ১৭ জন প্রাণ হারান। এসব ঘটনায় জড়িত অভিযোগে হেফাজতের বিলুপ্ত ঘোষিত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ অন্তত এক ডজন নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের কেউ রিমান্ডে, কেউ কারাগারে রয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে কোণঠাসা সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা শুরু থেকেই সমঝোতার চেষ্টা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তারা গোয়েন্দা সংস্থা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
সারাবাংলা/এজেড/ইউজে/টিআর