ঢাকা: দেশে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় আরোপিত ‘লকডাউনে’র বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
একইসঙ্গে শুনানিতে অংশ না নেওয়ায় রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৫ মে) এই আদালতের এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে আদালত বলেন, রিট করে তিনি (অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ) মিডিয়ায় প্রচার করেন। কিন্তু মামলা শুনানির তালিকায় আসার পর আর কোর্টে থাকেন না।
এর আগে, ২৫ এপ্রিল জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া লকডাউন দেওয়ার সুযোগ নেই উল্লেখ করে এই রিট আবেদন দাখিল করা হয়। রিট আবেদনে চলমান ‘লকডাউনে’র ওপর স্থগিতাদেশ এবং ভবিষ্যতে আর যেনো লকডাউন দেওয়া না হয়, সেজন্য আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়। ওই আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটিকে বিবাদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে অ্যাড. ইউনুছ আলী আকন্দ সারাবাংলাকে জানান, জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া জনগণের চলাফেরার অধিকার, আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার সরকার স্থগিত রাখতে পারে না। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭, ২৮, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৫ ও ৩৬ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে কটাক্ষ করে স্ট্যাটাস দেন এই ইউনুছ আলী। সে সময় গুরুতর আদালত অবমাননার অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আপিল বিভাগ। ওই ঘটনায় তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ তিন মাসের জন্য আইনপেশা থেকে বরখাস্ত করার আদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।