খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পরিবারের আবেদন
৫ মে ২০২১ ২৩:২৩
ঢাকা: রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘উন্নত চিকিৎসা’র জন্য বিদেশ নেওয়ার আবেদন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ও বোন সেলিমা ইসলাম।
বুধবার (৫ এপ্রিল) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে যান খালেদা জিয়ার দুই ভাই-বোন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তারা খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানো অনুমতি দিতে আবেদন জানান। আবেদনপত্র পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদেরকে আশ্বাস দেন ‘আইনি বিষয়গুলো’ যাচাই-বাছাই করে এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাক্ষাৎ শেষে শামীম ইস্কান্দার ও সেলিমা ইসলাম রাত ১১টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসা থেকে বের হয়ে যান।
নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড ১৯) আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন। এ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতে চায় তার পরিবার।
বিদেশ নেওয়ার অনুমতি চেয়ে সোমবার (৩ মে) রাতে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কাদার ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন। তারা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে খালেদা জিয়া বা তার পরিবার সরকারের কাছে কোনো আবেদন করেনি। খালেদা জিয়াকে পরবর্তী কোনো সুবিধা নিতে হলে আদালতের মাধ্যমেই আসতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ১০ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষায় কোভিড পজিটিভ আসেন। ল্যাবএইড ও আইসিডিডিআর,বি-তে তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। জানা যায়, খালেদা জিয়াসহ তার গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’র মোট ৯ জন করোনায় আক্রান্ত।
পরে ২৪ এপ্রিল খালেদা জিয়াসহ ‘ফিরোজা’র করোনা পজিটিভ ওই ৯ জনের দ্বিতীয় দফায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে পাঁচজন নেগেটিভ আসেন, বাকি চারজন পজিটিভ ছিলেন। পজিটিভ চার জনের মধ্যে ছিলেন খালেদা জিয়াও।
এর মধ্যে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. এফ এম সিদ্দিকী জানিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতির জন্য খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যপরীক্ষা অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তার সিটি স্ক্যানসহ প্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষা করানো হয়েছে। বাকি স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলোও নিয়মিত করানো হবে।
এরই অংশ হিসেবে আজ এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে কারাগারে যেতে হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে তাকে ছয় মাসের জন্য সাময়িক মুক্তি দেয়। পরে আরও দুই দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়। মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়া গুলশানে ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
সারাবাংলা/ইউজে/একে
করোনা কোভিড-১৯ খালেদা খালেদা জিয়া নভেল করোনাভাইরাস বিএনপি চেয়ারপারসন