Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জনগণের পুষ্টি নিশ্চিতে ২০৪ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৬ মে ২০২১ ২১:৩১

ঢাকা: করোনা পরিস্থিতিতে জনসাধারণের প্রাণিজ পুষ্টি নিশ্চিত করতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ন্যায্যমূল্যে ২০৪ কোটি টাকার মৎস্য ও প্রাণিজ পণ্য বিক্রি করা হয়েছে। গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রমের মাধ্যমে গত এক মাসে ২০৪ কোটি ৪৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রয় হয়। মৎস্য অধিদফতরের একটি ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের অপর একটি কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে দেশব্যাপী পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম সমন্বয় করা হচ্ছে।

কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ৪ মে পর্যন্ত এক মাসে দেশের ৬৪টি জেলায় ৫৩ লাখ ৫ হাজার ২১৬ লিটার দুধ, ২ কোটি ৯০ লাখ ৩২ হাজার ৬৮১ টি ডিম, ১ লাখ ৭৭ হাজার ৪৯১ কেজি গরুর মাংস, ৯৮ হাজার ৭২১ কেজি খাসির মাংস, ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯২ কেজি দেশি, সোনালি ও ব্রয়লার মুরগি বিক্রয় করা হয়েছে। এছাড়াও ৪ হাজার ১২৪ মেট্রিক টন মাছ এবং ৩ কোটি ৬৬ লাখ ১৫ হাজার ৯৫৫ টাকার বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রয় করা হয়েছে। গত এক মাসে সারাদেশে ১৭ হাজার ৯৫৪টি ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে এ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।

সূত্র জানায়, ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রে এলাকাভেদে প্রতি লিটার দুধ ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৬০ টাকায়, প্রতিটি ডিম ৬ টাকায়, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকায়, প্রতি কেজি খাসির মাংস ৭০০ টাকায়, প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ২২০ টাকায় এবং প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১১৯ থেকে সর্বোচ্চ ১৩০ টাকায় বিক্রয় হয়েছে। এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি গত এক মাসে প্রায় ৩ কোটি টাকা মূল্যের মাছ অনলাইনে বিক্রয় হয়েছে।

সূত্র জানায়, ভ্রাম্যমাণভাবে এসব পণ্য বিক্রয় করায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের প্রান্তিক খামারিরা যেমন ন্যায্যমূল্যে উৎপাদিত পণ্য সহজে বিপণন করছেন, অন্যদিকে ভোক্তারা করোনা পরিস্থিতিতে চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যেও চাহিদা অনুযায়ী মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্য সহজে ক্রয় করে তাদের অত্যাবশ্যকীয় প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন।

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

জনগণ পুষ্টি নিশ্চিত


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর