হাসপাতাল বলছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেশেই সম্ভব
৬ মে ২০২১ ২২:৪৬
ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। করোনা সংক্রমণ পরবর্তী জটিলতার কারণে তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা অবনতির দিকে। তবে তাকে এখনো হাই-ফ্লো নজল ক্যানোলা দেওয়ার মতো কিছু হয়নি। তার চিকিৎসা বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালেই সম্ভব। আর তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে কোনো পরামর্শ দেয়নি।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) সারাবাংলাকে এসব তথ্য জানান রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের হেড অব মেডিকেল সার্ভিসেস ডা. আরিফ মাহমুদ।
খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানিয়ে ডা. আরিফ মাহমুদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘তার শারীরিক অবস্থা যে খুব ভালো তা নয়। উনার পোস্ট কোভিড কম্পলিকেশন হচ্ছে। উনার ফুসফুসে ইনফেকশন আছে, ডায়াবেটিস বেড়ে গেছে। উনার অক্সিজেন রিকোয়ারমেন্টও বাড়ছে। সবকিছু মিলিয়ে খুব যে ভালো অবস্থায় আছে তা নয়।‘ বর্তমানে উনার চিকিৎসা চলছে। অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। ইনসুলিন প্রয়োগও হচ্ছে বলেও জানান ডা. আরিফ মাহমুদ।
এমন অবস্থায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দেশের বাইরে নেওয়া কতটা ঝুঁকিপুর্ণ? এছাড়া বাংলাদেশে কী উনার চিকিৎসা সম্ভব নয়? এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা. আরিফ মাহমুদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা তো উনার চিকিৎসা করছি। উনাকে দেশের বাইরে নেওয়ার বিষয়ে তো আমরা কিছু বলিনি। বাইরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত তার পরিবারের এবং উনার চিকিৎসকদের। এটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়, আমাদের না। কারণ আমরা উনার চেয়েও খারাপ অবস্থা হয়ে গেছে এমন রোগীরও চিকিৎসা করেছি। তাদের তুলনায় উনার অবস্থা তো কিছুই না। উনার তো এখন পর্যন্ত হাই-ফ্লো অক্সিজেনও লাগেনি। সুতরাং এর চেয়েও খারাপ অবস্থায় থাকা রোগীর চিকিৎসা বাংলাদেশেই সম্ভব।’
উল্লেখ্য, ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ভর্তি করা হয়। ওই সময় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, তার অবস্থা স্থিতিশীল। পরবর্তী সময়ে ৩ মে তাকে হাসপাতালটির সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয় মেডিকেল টিম।
৫ মে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার আবেদন জানানো হয় তার পরিবারের পক্ষ থেকে। খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ নিয়ে ওইদিন রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সরকারি বাসায় যান তার দুই নিকট আত্মীয়।
এদিকে ৬ মে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানান, আমরা এই আবেদন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দ্রুত যাচাই-বাছাই করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। তবে আজ সব বন্ধ হয়ে গেছে। তাই এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আজ হচ্ছে না।
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম