Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আরও ২ প্রতিষ্ঠান অক্সিজেন উৎপাদনে যাচ্ছে, জানালেন মন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৭ মে ২০২১ ০০:৪৯

ফাইল ছবি

ঢাকা: দেশে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার উপযোগী ৯০০ টন অক্সিজেনের মজুত দেশে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। অক্সিজেনের এই মজুতকে ‘শক্তি’ অভিহিত করে তিনি জানিয়েছেন, সরকার অক্সিজেন জেনারেটর অর্ডার করেছে, যেন দেশে নিজেরাই অক্সিজেন তৈরি করতে পারি। এছাড়া আরও দুইটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নতুন করে অক্সিজেন উৎপাদনে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) ‘কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় করণীয় এবং অক্সিজেন সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যুক্ত ছিলেন মন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- ‘ঈদের অবাধ শপিংয়ের কারণে বাড়তে পারে করোনা সংক্রমণ’

আলোচনায় তিনি বলেন, অক্সিজেন স্টোর করার জন্য সক্ষমতা বাড়াতে বলেছি। এটা আমরা করব। আমরা সরকারিভাবে আরও ১ হাজার টন অক্সিজেন মজুত করব। তার জন্য একটু সময় লাগবে। এখন পর্যন্ত আমাদের যে মজুত আছে, তাতে বর্তমানে আমাদের চলে যাবে। কিন্তু সংক্রমণ যদি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়, তখন সংকটটা দেখা দেবে।

মন্ত্রী বলেন, দেশে বড় তিন-চারটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আছে যারা সব মিলিয়ে ১৭৫ টনের মতো লিকুইড অক্সিজেন তৈরি করতে পারে। এছাড়াও আমাদের গ্যাস অক্সিজেন তৈরির সক্ষমতাও অনেক আছে। সরকারিভাবে আমাদের প্রায় ২২ হাজার সিলিন্ডার গ্যাস মজুত আছে। লিকুইড অক্সিজেন ও গ্যাস অক্সিজেন মিলিয়ে আমাদের প্রতিদিন প্রায় ২০০ থেকে ২১০ টন অক্সিজেন তৈরির সক্ষমতা আছে।

বিজ্ঞাপন

এর বাইরেও দুইটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নতুন করে অক্সিজেন উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, তারা দৈনিক ৭০ টন করে অক্সিজেন উৎপাদন করতে পারবে বলে জানিয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন আমাদের লিকুইড অক্সিজেন উৎপাদনের সক্ষমতা আছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টন। নতুন দুই প্রতিষ্ঠান থেকে যদি আরও ৭০ টন যুক্ত হয়, তাহলে আমাদের সক্ষমতা গিয়ে দাঁড়াবে ২৭০ টনে, যা আমাদের জন্য অনেক বড় শক্তি হবে।

বেসরকারি হাসপাতালের মালিকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা যারা রয়েছেন, তাদের পরামর্শ দেবো— আপাতত লিকুইড অক্সিজেন কম ব্যবহার করুন। লিকুইড অক্সিজেন ব্যবহার না করে গ্যাস অক্সিজেন ব্যবহার করবেন। লিকুইড অক্সিজেন জমিয়ে রাখবেন প্রয়োজন হলে যেন ব্যবহার করা যায়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিপিএমসিএ সভাপতি এম এ মুবিন খান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য সেবা অধিদদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞাসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

অক্সিজেন উৎপাদন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর