মাস্ক ব্যবহারে সরকারের ৮ নির্দেশনা
৭ মে ২০২১ ০৯:৫১
ঢাকা: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে এবার মানুষ কীভাবে মাস্ক ব্যবহার করবে, এ নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (৬ মে) এক তথ্য বিবরণীতে ঘরের বাইরে মাস্ক পরিধানের বিষয়ে ৮টি নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়, করোনার সংক্রমণের প্রতিরোধে ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এরইমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মাস্ক হচ্ছে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি হ্রাসের অন্যমত মাধ্যম। কোনো কাজে ঘরের বাইরে গেলে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহারের জন্য সরকারের নির্দেশনা সকলকে বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলতে হবে।
নির্দেশনাগুলো হলো:
১। কয়েক স্তর বিশিষ্ট সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করা সবচেয়ে ভাল, যা এককালীন ব্যবহার করতে হবে।
২। অনেকে মাস্ক পরার সময় নাক খোলা রেখে শুধু মুখ ঢেকে রাখেন, যা সঠিক নয়। বরং উপরের মেটাল অংশটাকে নাকের সঙ্গে চেপে ও নিচের অংশটাকে থুতনির নিচে নিয়ে উভয়ই ঢেকে রাখতে হবে। সম্পূর্ন মুখমণ্ডল ঢেকে রেখে মাস্ক পরতে হবে।
৩। অনেকে মাস্ক থুতনি পর্যন্ত খুলে রেখে কথা বলেন। এটাও ঠিক নয়। এতে লেগে থাকা জীবাণু সহজেই ছড়িয়ে পড়ে।
৪। সার্জিক্যাল মাস্ক ঘরে রেখে দিয়ে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা উচিত না। একটি মাস্ক সর্বোচ্চ একদিন ব্যবহার করে সেটাকে ধ্বংস করে দিতে হবে।
৫। যেসব স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা মুশকিল (গণপরিবহন, বাজার দোকান-পাট)। এসব স্থানে মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় ও হাত জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
৬। সাধারণ কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারের পর অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে। অপরিষ্কার মাস্ক পরলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ব্যবহার করা মাস্ক জীবাণুমুক্ত করতে পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মাস্ক সাবান পানিতে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৭। ভেজা মাস্ক পরিধান করা উচিত নয়। এতে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
৮। বাইরে গেলে দুটি মাস্ক ব্যাগে রাখা দরকার। মুখে বাঁধা মাস্ক কোনো কারণে নষ্ট হলে বা ভিজে গেলে অন্যটি ব্যবহার করতে হবে।
মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সকল নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে ওই তথ্য বিবরণীতে।
সারাবাংলা/জেআর/এনএস