ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি রাষ্ট্রীয় মদতে স্বাধীনতার পুরস্কারপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করে।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার’র শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৬ মে) এক ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যার বিচারের রায় এখনো কার্যকর হয়নি। অবিলম্বে রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর সদর-টঙ্গী আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দু’বার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু-দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়াও শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন। ১৯৯২ সালে উপজেলা পরিষদ বিলোপের পর চেয়ারম্যান সমিতির আহবায়ক হিসেবে উপজেলা পরিষদের পক্ষে মামলা করেন ও দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন। এক পর্যাযে তিনি গ্রেফতার হন ও কারা ভোগ করেন।
মন্ত্রী প্রয়াত আহসান উল্লাহ মাস্টারের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি এডভোকেট আবদুল বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসিবে অংশ বক্তব্য রাখেন ও শিশু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ, প্রবীণ সাংবাদিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া, বাসসের বাংলা বিভাগের প্রধান রুহুল গণি জ্যোতি, সাংবাদিক খান মোহাম্মদ সালেক, গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক এম. এ বারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতারা।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।
আগামীকাল ৭ মে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী। ২০০৪ সালের আজকেই এই দিনে নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়।