লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ফেরিতে উঠতেই উঠে গেল হাজারো যাত্রী
৮ মে ২০২১ ১০:৩৪
মুন্সীগঞ্জ: সকাল নয়টা ৩০ মিনিট। শিমুলিয়া ঘাটে ফেরির অপেক্ষায় দাঁড়ানো হাজারো যাত্রী। দিনেরবেলা ফেরি চলাচলে নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে এসব যাত্রী। এমন সময় তারা খেয়াল করলেন ঘাটে অপেক্ষমাণ লাশবাহী কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য একটি ফেরি বাংলাবাজারের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে। আর কোনো কথা নয়। অ্যাম্বুলেন্স ফেরিতে ওঠার আগেই ফেরিতে উঠে গেল হাজারো যাত্রী। উপায়ন্তর না দেখে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও কানায় কানায় ঠাঁসা যাত্রী নিয়ে ফেরিটি রওনা হলো বাংলাবাজারের উদ্দেশে।
জানা গেছে, করোনা বিস্তার রোধে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক শনিবার (৮ মে) থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে দিনের বেলায় ফেরি চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় বিআইডব্লিউটিসি। রাতের বেলায় ফেরিগুলোয় শুধু জরুরি প্রয়োজনে আসা যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স ও পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করবে। তবে শনিবার সকাল থেকেই উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে। সকালে কুঞ্জলতা নামের একটি ফেরিতে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স উঠতেই হাজার হাজার যাত্রী সেই ফেরিতে উঠে যায়।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক ব্যবস্থাপক সাহাদাৎ হোসেন জানান, বিধিনিষেধে কর্মস্থল ত্যাগ করার বিষয়ে সরকারিভাবে বারণ থাকলেও ঈদকে সামনে রেখে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষের সকাল থেকেই শিমুলিয়া ঘাটে আসতে শুরু করে। সকালে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের কারণে শিমুলিয়া পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে মাইকিং করে ঘাট ত্যাগ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাত তিনটা থেকে আমরা আর কোনো ফেরি ছাড়ব না। কাল থেকে বন্ধ থাকবে ফেরি চলাচল। আপতত এর থেকে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে সাধারণত ১৬টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে পারপার হয়। চলমান করোনাভাইরাসের লকডাউনে গত ১৪ এপ্রিল থেকে সীমিত করা হয় ফেরি চলাচল। লকডাউনের শুরুতে দিনের বেলায় দু–তিনটি ফেরি ছাড়া হলেও শুক্রবার থেকে যাত্রী ও জরুরি প্রয়োজনে আসা যানবাহনের চাপ বেশি থাকা প্রায় সব কয়টি ফেরি চলাচল করে এ নৌপথে। এসব ফেরিতে জরুরি প্রয়োজনে আসা যাত্রী, অ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী ট্রাক, কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপারের কথা থাকলেও সাধারণ যাত্রীদরেই বেশি পারাপার হতে দেখা যায়। এ কারণে বিআইডব্লিউটিসির পক্ষ থেকে আজ সকাল থেকে দিনের বেলায় ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রেখেছে।
সারাবাংলা/এএম