পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, চাচাতো ভাইকে পিটিয়ে হত্যা
৯ মে ২০২১ ০১:৩১
নোয়াখালী: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তারই চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ দুই জনকে আটক করেছে। তবে প্রধান অভিযুক্ত এখনো পলাতক রয়েছেন।
শনিবার (৮ মে) ভোরে উপজেলার ৮ নম্বর সোনাপুর ইউনিয়নের মেরিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত গোলাম কিবরিয়া রাসেদ (২৪) ওই গ্রামের অলি উল্যাহ মৌলভী বাড়ির আবদুল মালেকেরে ছেলে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। তাকে পেটানোর অভিযোগ রয়েছে তারই চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, শনিবার ভোর ৫টার দিকে কিবরিয়াকে তার বাড়িতেই হামলা করা হয়। আহত অবস্থায় সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে দুপুরে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ তার বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মো.বাবুল (৫১) ও তার ছেলে সুজনকে (২২) আটক করে। তবে প্রধান অভিযুক্ত মো.আবদুর রহিম (৩০) পলাতক রয়েছেন।
নিহতের মামা মো. সেলিম ভূঞা জানান, কিবরিয়া আমিশা পাড়া বাজারে চাচাতো ভাই আবদুর রহিমের মালিকানাধীন মিনি চাইনিজ রেস্তোরাঁয় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করত। পরে রেস্তোরাঁর মালিক রহিমের কাছে কাজের পাওনা টাকা চাইতে গেলে এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে গত ২ মে তারা কিবরিয়াকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ওই রেস্তোরাঁয় বেঁধে কয়েক ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালায়। পরে তার পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে।
সেলিম ভূঞা আরও জানান, শনিবার ভোরের দিকে কিবরিয়া ঘরের বাইরে প্রসাব করতে গেলে তারা তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ঘরের সামনে ফেলে যায়। সেহেরি খেতে উঠে পরিবারের সদস্যরা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঘরের সামনে থেকে উদ্ধার করে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
তিনি বলেন, পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে আটক করেছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/টিআর