করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট এসেছে ছোটাছুটি না করে সতর্ক থাকেন
৯ মে ২০২১ ১২:৪৯
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক মহামারি করোনার দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, একটা ঈদে কোথাও না যেয়ে নিজের ঘরে থাকতে কী ক্ষতিটা হয়! আপনারা এই ছোটাছুটি না করে যে যেখানেই আছে, সে সেখানেই থাকেন। কারণ আবার নতুন ভ্যারিয়েন্ট এসেছে। এটি আরও বেশি ক্ষতিকারক। যাকে ধরে সঙ্গে সঙ্গে তার মৃত্যু হয়।
রোববার (৯ মে) সকালে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের অবশিষ্ট মুল অধিবাসী এবং সাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত মোট ১৪৪০ জনের মধ্যে প্লট বরাদ্দ-পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অংশ নেন। গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রান্তে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এমপি, সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকিসহ অনেকে।
প্রধানমন্ত্রী বৈশ্বিক মহামারি করোনার দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সময় আপনারা মাস্ক পরে থাকবেন, সাবধানে থাকবেন। কারণ ভাইরাসের আবার নতুন একটা ভ্যারিয়েন্ট এসেছে। এটি আরও বেশি ক্ষতিকারক। যাকে ধরে সঙ্গে সঙ্গে তার মৃত্যু হয়। সেজন্য আপনি নিজে সুরক্ষিত থাকেন। অপরকে সুরক্ষা দেন।’
আসন্ন ঈদ কেন্দ্র ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরার বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি ঈদের সময় মানুষ পাগল হয়ে গ্রামে ছুটছে। কিন্তু এই যে আপনারা একসাথে যাচ্ছেন, এই চলার পথে ফেরিতে হোক, গাড়িতে হোক, যেখানেই হোক কার যে করোনাভাইরাস আছে আপনি জানেন না? কিন্তু আপনি সেটা বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, আপনার পরিবারের কাছে। মা-বাবা, দাদা-দাদি ভাই-বোন যেই থাকুক, আপনি কিন্তু থাকেও সংক্রামিত করবেন। তার জীবনটাও মৃত্যু ঝুঁকিতে ফেলে দেবেন।’
‘একটা ঈদে কোথাও না যেয়ে নিজের ঘরে থাকতে কী ক্ষতিটা হয়! কাজেই আপনারা এই ছোটাছুটি না করে যে যেখানেই আছে, সে সেখানেই থাকেন। সেইখানেই নিজের মত করে ঈদকে উদযাপন করেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন রমজান মাস। আমরা রোজা রাখছি এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করেন, যেন এই করোনাভাইরাস থেকে আমাদের দেশ মুক্তি পায়। দেশের মানুষ মুক্তি পায়। আর যেন প্রাণহানি না হয়। কারণ আপনারা দেখেছেন শুধু বাংলাদেশ না সারাবিশ্বব্যাপী কিন্তু এই করোনার জন্য কত মানুষ মারা যাচ্ছে? আমাদের প্রতিবেশী দেশে প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে এবং প্রতিবেশী দেশে যখন হয় স্বাভাবিকভাবে আমাদের দেশে আসারও একটা সম্ভাবনা থাকে। সে জন্য আগে থেকেই আমাদের নিজেদেরকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। নিজেদেরকে সেভাবে চলতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সমস্ত দেশবাসীর জন্য বলছি–আপনারা একটু ধৈর্য ধরেন এবং নিজের ভালো চিন্তা করেন। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের ভালো চিন্তা করেন।’
সারাবাংলা/এনআর/একে