চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর এক মো. সরওয়ার জনি (২৮) নামে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ওই যুবক মাদক বিক্রিতে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (৮ মে) রাতে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
মৃত মো. সরওয়ার জনি নগরীর হালিশহর থানার রামপুর ওয়ার্ডের সবুজবাগ আবাসিক এলাকার নুর আলমের ছেলে।
হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘এলাকায় আধিপত্য নিয়ে সরওয়ার জনির সঙ্গে প্রতিপক্ষ কোরবান-সাজু-সাজ্জাদ গ্রুপের বিরোধ ছিল। গত ৪ মে রাতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন সরওয়ার জনিকে ছুরিকাঘাত করে। এ ঘটনায় তার উরুতে রগ কেটে যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়। আইসিইউতে থাকা অবস্থায় গত (শনিবার) রাতে তার মৃত্যু হয়েছে।’
এ ঘটনায় সরওয়ার জনির বাবা বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন এবং একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
মৃত সরওয়ার জনির বন্ধু নুর হাসান রাহাত সারাবাংলাকে জানান, তারা দু’জন রামপুর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ দলীয় কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র আব্দুস সবুর লিটনের অনুসারী কর্মী। জনি যুবলীগের রাজনীতিতে জড়িত। গত ৪ এপ্রিল রাতে সবুজবাগ এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপে প্রথমে ঝগড়া ও পরে মারামারি শুরু হয়। তারা দুই জন ঝগড়া থামাতে যান। রাহাত এক গ্রুপকে টেনে একদিকে নিয়ে যান। জনি আরেক গ্রুপকে সামলাতে থাকেন। তখন ওই কিশোর গ্রুপের এক সদস্যের ছুরিকাঘাতে আহত হন জনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি রফিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে কোনো সমস্যা হয়নি। মাদক ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে বিরোধ থেকে মারামারি হয়েছে। নিহত সরওয়ার জনির বিরুদ্ধে আমাদের থানায় মাদক আইনে মামলা আছে।’