‘করোনাকালে ডেঙ্গু যেন আমাদের নতুন করে বিপদগ্রস্ত না করে’
৯ মে ২০২১ ২০:১৪
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ চলাকালীন এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু যেন নতুন করে বিপদগ্রস্ত না করতে পারে। এজন্য কোভিড-১৯ সংক্রমণের পাশাপাশি ডেঙ্গু মশা নিয়েও সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
রোববার (৯ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ অনুরোধ জানান প্রতিষ্ঠানের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বর্ষাকাল প্রায় এসে যাচ্ছে, বৃষ্টি হতে শুরু করেছে। বর্ষা মৌসুমের আগে যে জরিপ করা হয়, সেটি আমরা শেষ করেছি। ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর কারণে আমরা কঠিন সময় অতিবাহিত করেছি। ২০২০ সালে সে পরিস্থিতি খানিকটা সহনীয় ছিল। আমরা চাই, এই করোনাকালে ডেঙ্গু যেন আমাদের নতুন করে বিপদগ্রস্ত না করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ৩২ নম্বর ওয়ার্ড (লালমাটিয়া ও ইকবাল রোড) ও ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে (সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী) অনেক বেশি পরিমাণে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এছাড়া লার্ভার ঘনত্ব আমরা যেভাবে পরিমাপ করি সেই বিবেচনায় উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৩, ৩১, ৩৫ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের মনিপুর, মীরেরবাগ, শেওড়াপাড়া, নূরজাহান রোড, আসাদ এভিনিউ, শাহজাহান রোড, মগবাজার, ইস্কাটন, মধুবাগ, নোয়াটোলা এলাকায় অনেক বেশি পরিমাণে পাওয়া গেছে।’
ডা. নাজমুল বলেন, ‘দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় মালিবাগ, গুলবাগ, শান্তিবাগ, মিন্টু রোড, বেইলি রোড, কাকরাইল, সিদ্দিক বাজার, ওসমান গণি রোড, শাঁখারীবাজার, আর কে মিশন রোড, অভয় দাশ লেন, মিল ব্যারাক এলাকায় অনেক বেশি পরিমাণে এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত করতে পেরেছি।’
‘প্লাস্টিকের পাত্র, পানির ট্যাঙ্ক, ফুলের টব, নির্মাণাধীন ভবন, লিফটের গর্তে অত্যন্ত আশঙ্কাজনকভাবে লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই লার্ভা থেকে পূর্ণাঙ্গ বয়স্ক এডিস মশা তৈরি হবে। , এ মশা রোগ বিস্তারে বড় ভূমিকা রাখে। সেখান থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে উৎসে আমাদের কাজ করতে হবে। প্রত্যেকে যেন নিজ নিজ বাড়িতে পরিত্যক্ত কনটেইনার বা টব যেন আমরা পরিষ্কার করে ফেলি’, বলেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ যদি বেশি সময়ের জন্য বাসা ছেড়ে যাই, যেসব জায়গায় পরিষ্কার পানি জমে থাকতে পারে সেগুলো যেন খালি করে যাই।’ ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর কারণে যে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছে, সেটি যদি এ করোনাকালে হয় তাহলে মৃত্যুর মিছিল বাড়াবে কি না বরাবরই সে আশঙ্কা থেকে যায় বলেও শঙ্কা জানান তিনি।
সারাবাংলা/এসবি/এমও