Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যে প্রক্রিয়ায় মুক্তি, সেই প্রক্রিয়াতেই বিদেশ যাবেন খালেদা জিয়া!

আসাদ জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১০ মে ২০২১ ২২:৩৮

ঢাকা: পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘সাময়িক’ মুক্তি পেয়েছিলেন, সেই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই তিনি বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন বলে মনে করছে তার দল ও পরিবার। এ ক্ষেত্রে আইন আদালত নয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর উদ্যোগ নেবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা— এমনটিই বিশ্বাস তাদের।

খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি দেওয়ার এখতিয়ার সরকারের নেই— স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এমন মতামতের সঙ্গেও একমত হতে পারছে না বিএনপি এবং খালেদা জিয়ার পরিবার। বরং এই মতকে তারা Per Incuriam বা ভ্রান্ত মতামত হিসেবে দেখছেন।

বিজ্ঞাপন

দলটির নেতারা বলছেন, ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ৪০১ ধারায় সরকারকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সাজাপ্রাপ্ত আসামির বিষয়ে শর্তহীন কিংবা শর্তযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার।

এ প্রসঙ্গে বিএনপিপন্থি আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, আদালত যদি বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞাও দেয়, তারপরও সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১) ও ৪০১(৪ক) ধারা অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে।

এই কার্যবিধির ৪০১ (১) ধারায় বলা হয়েছে— কোনো ব্যক্তি অপরাধের জন্য দণ্ডিত হলে সরকার যেকোনো সময় বিনা শর্তে বা দণ্ডিত ব্যক্তি যা মেনে নেয়, সেই শর্তে যে দণ্ডে সে দণ্ডিত হয়েছে সেই দণ্ডের কার্যকরীকরণ স্থগিত রাখতে বা সম্পূর্ণ দণ্ড বা দণ্ডের অংশবিশেষ মওকুফ করতে পারবে।

এই বিধির (৪ক) ধারায় বলা হয়েছে— এই বিধি বা অন্য কোনো আইনের কোনো ধারা অনুযায়ী কোনো ফৌজদারি আদালত কোনো আদেশ দিলে তা যদি কোনো ব্যক্তির স্বাধীনতা খর্ব করে অথবা তার বা তার সম্পত্তির ওপর দায় আরোপ করে, তাহলে উপযুক্ত উপধারাগুলোর বিধান এই আদেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

বিজ্ঞাপন

আইনজীবী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘৪০১ (৪ক) ধারা পড়লে স্পষ্টত প্রতীয়মান হয়, যেকোনো আইনে যদি কোনো আদালত কোনো ব্যক্তির (সাজাপ্রাপ্ত কিংবা সাজাপ্রাপ্ত নয়) চলাফেরার স্বাধীনতা খর্ব করে কোনো আদেশ দেন, সেক্ষেত্রেও সরকার তা স্থগিত করে তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারে। এটি সরকারের সহজাত ক্ষমতা, যাকে বলা হয় Inherent Power! দুদক আইন, ২০০৪-এ সরকারের এই ব্যাপক সহজাত ক্ষমতাকে খর্ব করা হয়নি। ফলে দুদকেরও এখানে বলার কিছু নেই।’

অর্থাৎ ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় ‘সাময়িক’ মুক্তি পাওয়া খালেদা জিয়া এ ধারার আওতায়-ই বিদেশ যেতে পারবেন চিকিৎসা নেওয়ার জন্য— বিএনপিপন্থি এই আইনজীবীর মতো বিএনপি এবং খালেদা জিয়ার পরিবারও এমনটিই মনে করছে। আর এ জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ খুব শিগগিরই নেবে খালেদা জিয়ার পরিবার।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সরকারের গ্রিন সিগন্যালের ভিত্তিতেই প্রসিডিউর অনুযায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার। সেটি যথারীতি নাকচ হয়েছে। এখন তারা প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন হবেন, যেমনটি গতবার হয়েছিলেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম ও ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। আর খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম সাত্তার সারাবংলাকে বলেন, ‘উনারা (খালেদা জিয়ার ভাই-বোন) আমার সঙ্গে এখনো কিছু শেয়ার করেননি।’

পাসপোর্ট প্রস্তুত

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে হলে প্রয়োজন পাসপোর্ট ও সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসা। কিন্তু ২০১৯ সালেই খালেদা জিয়ার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। চলমান সংকটময় (করোনাভাইরাস) পরিস্থিতিতে রাতারাতি পাসপোর্ট তৈরি করা কিছুতেই সম্ভব ছিল না। বিশেষ করে ই-পাসপোর্টের ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, সেটি এই মুহূর্তে খালেদা জিয়ার পক্ষে সম্ভব না। এ ক্ষেত্রেও প্রয়োজন ছিল সরকারের সহযোগিতা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ই-পাসপোর্টের ঝামেলা এড়িয়ে খালেদা জিয়ার জন্য মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) তৈরি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় খুব দ্রুততার সঙ্গেই খালেদা জিয়ার জন্য এমআরপি তৈরি করা হয়েছে। পরের ধাপে ভিসা পাওয়ার বিষয়টিও একইভাবে সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম সাত্তার সারাবাংলাকে বলেন, ‘ই-পাসপোর্ট করার মতো সময় আমাদের হাতে না থাকায় ম্যাডামের জন্য মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) তৈরি করতে দিয়েছিলাম। ওটা হয়ে গেছে। তবে এখনো হাতে পাইনি।’

খালেদা জিয়াকে কতটুকু প্রয়োজন বিএনপির?

১৯৮১ সালের ৩০ মে এক সামরিক অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিহত হন। এরপর দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের আহ্বানে ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি বিএনপিতে যোগ দেন খালেদা জিয়া। ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিচারপতি আব্দুস সাত্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালের ১০ মে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন।

১৯৮৩ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সাত দলীয় ঐক্যজোট গঠিত হয়। ওই বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এরশাদবিরোধী আন্দোলন শুরু করে সাত দল। ওই সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৫ দল ও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সাত দল যৌথভাবে আন্দোলন কর্মসূচিরও সূত্রপাত করে। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন চলতে থাকে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৯৮৬ সালের ২১ মার্চ এরশাদের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ছেদ পড়ে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৫ দল ভেঙে ৮ দল ও ৫ দল হয়। ৮ দল নির্বাচনে যায়। আর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ৭ দলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে যায় পাঁচ দলীয় জোট।

পরে ১৯৮৭ সালে শুরু হয় ‘এরশাদ হটাও’য়ের দাবিতে এক দফা আন্দোলন। ওই সময় এরশাদ সংসদ ভেঙে দেন। এরপর আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু হয়। সামরিক শাসক এরশাদের পতন ঘটে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর। ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বিএনপি। দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন খালেদা জিয়া।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন খালেদা জিয়া। আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন বয়কট করে। প্রবল গণআন্দোলন ও বহির্বিশ্বের চাপে সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস হয়। মাত্র ১৫ দিন ক্ষমতায় থাকার পর খালেদা জিয়া পদত্যাগ করেন। পরে ওই বছরই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা।

অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট ও জাতীয় পার্টিকে নিয়ে চারদলীয় ঐক্যজোট গঠন করেন খালেদা জিয়া। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর সংসদ নির্বাচনে চার দলীয় ঐক্যজোট জয় পায়। খালেদা জিয়া তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর এই সংসদের মেয়াদ শেষ হয়।

তিন বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিরোধী দলের নেতা হিসেবেও দুই বার দায়িত্ব পালন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে বিএনপি বিরোধী দলে পরিণত হয়। খালেদা জিয়া সংসদে বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত হন।

পরে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চারদলীয় ঐক্যজোট বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়। তারা আসন পায় মাত্র ৩২টি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রায় ২৬০টি আসনে জয় পায়। এ সংসদেও বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত হন খালেদা জিয়া। এর পর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার দল অংশ নিলেও তিনি ভোটে দাঁড়াতে পারেননি আইনি জটিলতায়।

দলীয় সূত্রমতে, নেতৃত্ব গ্রহণের ঠিক ৩৭ বছর (১০ মে ১৯৮৪ থেকে ১০ মে ২০২১) পর এসে এই মহূর্তে দলের জন্য বেগম খালেদা জিয়া কতটা প্রাসঙ্গিক— তা নিয়ে ভাবার অবকাশ রয়েছে বলে মনে করেন কেউ কেউ। তার অনুপস্থিতিতে লন্ডন থেকে বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারই বড় ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ২০১৮ সালের ৮ ফ্রেব্রুয়ারি কারাবন্দি হওয়ার পর কার্যত তারেক রহমানের নেতৃত্বেই চলছে বিএনপি। এখন পর্যন্ত কোনো ফাটল বা নেতৃত্বের সংকট দেখা দেয়নি।

তাছাড়া খালেদা জিয়ার এখন যে বয়স এবং শারীরিক অবস্থা, তাতে তিনি সেরে উঠলেও পল্টন কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সভা-সমাবেশ করা তার পক্ষে সম্ভব না। সারাদেশ সফর করে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখা বা সংগঠন গোছানোর চিন্তা তার জন্য সুদূর পরাহত। সুতরাং ব্যক্তি স্বার্থে তাকে নিয়ে টানা-হেঁচড়া করার পক্ষে দলের কোনো কোনো নেতা মত দিলেও বিএনপির কর্মী সসমর্থকেরা চান, যেভাবেই হোক খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা যেন নিশ্চিত হয়। সেক্ষেত্রে পারিবারিক উদ্যোগে যে প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়েছেন, সেই প্রক্রিয়ায় বিদেশ পাঠানোর কোনো সুযোগ থাকলে সেটি গ্রহণের ব্যাপারে আপত্তি নেই বেশিরভাগ নেতাকর্মীর।

এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পুরো বিষয়টি ডিল করছে তার পরিবার। তখনো (মুক্তির সময়) আমরা কোনো আবেদন করিনি। এখনো (বিদেশ পাঠানোর ব্যাপারে) আমরা কোনো আবেদন করিনি। আবেদন করেছে তার পরিবার। পরবর্তী স্টেপগুলো তারাই নেবেন।’

অন্য দলের নেতারা যা বললেন

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘অনায়াসেই খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে পারত সরকার। কিন্তু সরকার সেটা না করে বড় অন্যায় করেছে। আমি বলব, এটা করা মোটেই ঠিক হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বড় নোংরা খেলা খেলছে সরকার।’

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলে, খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি দেওয়ার এখতিয়ার  সরকারের নেই— এটি একটি বাহানা। আইনের ব্যাত্যয় ঘটিয়ে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর নজির এ দেশে রয়েছে। আ স ম  আবদুর রবকে জার্মানিতে পাঠানো হয়েছিল। প্রয়াত মোহম্মদ নাসিমকেও বোধহয় পাঠানো হয়েছিল। সুতরাং মানবিক কারণে হলেও খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানো উচিত। চিকিৎসার অভাবে তার যদি কিছু হয়ে যায়, এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি সারাবাংলাকে বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত আসামি জামিনে মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাত্রা— এ দেশে এমন নজির অনেক আছে। খালেদা জিয়াও এই সুযোগ পেতে পারেন। এটি তার নাগরিক অধিকার। সুতরাং তাকে এ ব্যাপারে অসহযোগিতা করা বা বাধা তৈরি করা মোটেও ভালো কাজ নয়। আমরা চাই, তার নাগরিক সুবিধা তাকে দেওয়া হোক।’

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

খালেদা জিয়া ফৌজদারি কার্যবিধি বিএনপি চেয়ারপারসন বিদেশে চিকিৎসা সাজা মওকুফ সাজাপ্রাপ্ত আসামি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর