‘কওমি মাদরাসাগুলোয় জাতীয় চেতনা ও সংস্কৃতিবোধ উপেক্ষার শিকার’
১১ মে ২০২১ ১৫:২৯
ঢাকা: ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও দেশের কওমি মাদরাসাগুলোয় জাতীয় চেতনা ও সংস্কৃতিবোধ উপেক্ষার শিকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি পেলেও ৫০ বছর ধরে দেশের জাতীয় সঙ্গীত চর্চা হয় না। এ বিষয়ে সরকারের মধ্যে উদাসীনতা কাজ করছে। আমরা অবিলম্বে এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
মঙ্গলবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর কলাবাগানে দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এম এ আউয়াল এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘কওমি মাদরাসাগুলোতে ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে নানা অঘটনের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। মাদরাসায় শিশুরাও নির্যাতিত হচ্ছে। এসব অন্যায় বন্ধে শিক্ষকদের সচেতন করতে হবে। কওমি মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য সরকারকে প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা চালুর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সভায় এ এম আউয়াল বলেন, ‘করোনাভাইরাসের এই সংক্রমণের মধ্যে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা দরকার। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঈদের সময় আরও সতর্ক থাকতে হবে।’ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া নিয়মের মধ্যে ঈদের জামাত আদায় করার আহ্বান জানান তিনি।
হেফাজতে ইসলামের নেতাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক গ্রেফতার অভিযান প্রসঙ্গে এম এ আউয়াল বলেন, ‘যারা নাশকতার সঙ্গে যুক্ত, উগ্রবাদের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নিরাপরাধ কোনও আলেম যেন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হয়রানির মধ্যে না পড়ে।’
ইসলামি ওয়াজ-মাহফিলের বক্তাদের বিষয়ে এম এ আউয়াল বলেন, ‘দেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সৃষ্টি এই প্রতিষ্ঠানটিকেই আলেমদের প্রশিক্ষণে এগিয়ে আসতে হবে। বক্তাদের নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। কোরআন-হাদিসের নাম ব্যবহার করে উগ্রবাদী বক্তাদের চিহ্নিত করে তাদের পরিশুদ্ধির পথে ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনকেই ভূমিকা রাখতে হবে।’
সভায় দলের মহাসচিব অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এমও