ঢাকা: করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশে তৈরি ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য রফতানিতে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। একের পর এক দেশ যুক্ত হচ্ছে ওয়ালটনের রফতানি তালিকায়। যার সর্বশেষ সংযোজন দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ। এয়ার কন্ডিশনার (এসি) দিয়ে ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রে পণ্য রফতানি শুরু করলো ওয়ালটন। মালদ্বীপে পর্যায়ক্রমে রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিন, হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য পাঠানো শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
মঙ্গলবার (১১ মে) মালদ্বীপের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান রানফাউন প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওয়ালটন। এই চুক্তির আওতায় দেশটিতে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের সব ধরনের পণ্য বিক্রয় এবং সার্ভিস দিতে পারবে রানফাউন।
ওয়ালটনের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগের (আইবিইউ) প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম। রানফাউন প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষে সই করেন প্রতিষ্ঠানটির স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ ফাতিহ এবং মোহাম্মদ সাফিউ।
ডিস্ট্রিবিউটরশিপ এগ্রিমেন্ট সাইনিংয়ের ওই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের হাই কমিশনার শিরুজিমাথ সামির, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম ও নিশাত তাসনিম শুচি, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুমায়ূন কবীর, নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান এবং ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আব্দুর রউফ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফার্স্ট সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর এস.এম. তাসনিফ নাফি।
বক্তব্যে ওয়ালটনের পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, মালদ্বীপ ছোট দেশ হলেও এর মাথাপিছু আয় অনেক বেশি। সারাবিশ্বের পর্যটকদের কাছে মালদ্বীপ অন্যতম আকর্ষণ। দেশটিতে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ব্যবসা শুরু করতে পেরে তিনি আনন্দিত। বাংলাদেশে সব পণ্যের মার্কেট শেয়ারে ওয়ালটন যেমন শীর্ষে, তেমনিভাবে মালদ্বীপেও ওয়ালটন সবার পছন্দের ব্র্যান্ড হয়ে উঠবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
বিপণন বিভাগের প্রধান এডওয়ার্ড কিম জানান, বিশ্ব বাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ওয়ালটন পণ্যের রফতানি। করোনার মধ্যেও চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ২০২০ সালের মোট রফতানির পরিমাণকে ছাড়িয়ে গেছে ওয়ালটন। এরই প্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে ১০০০ কোটি টাকার পণ্য রফতানির টার্গেট নিয়েছে ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগ। লক্ষ্য অর্জনে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে আইবিইউ’র সদস্যরা।
ভার্চুয়াল ওই অনুষ্ঠানে রানফাউন প্রাইভেট লিমিটেডের স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ ফাতিহ জানান, ইতোমধ্যেই তারা বাংলাদেশ থেকে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এসি আমদানি করেছেন। খুব শিগগিরই রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিন, হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য নেবেন তারা। বাংলাদেশে তৈরি আন্তর্জাতিক মানের পণ্য এবং আন্তরিকতায় মালদ্বীপের ক্রেতাদের মধ্যে ওয়ালটন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।