নিখোঁজের ৭ দিন পর গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর মৃতদেহ শনাক্ত
১৩ মে ২০২১ ২০:৪১
ঢাকা: ঢাকার সাভার থেকে নিখোঁজ গার্মন্টস ব্যবসায়ী আহসান হবিব নান্টুর (৫২) মৃতদেহ শনাক্ত করেছে তার স্বজনরা। বুধবার (১২ মে) রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃতদেহটি শনাক্ত করা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৩মে) দুপুরে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। এর আগে গত ৭ মে রাত একটার দিকে নান্টুকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসে জলিল মিয়া নামের এক ব্যক্তি।
কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিম হোসেন খান বলেন, ‘গত ৭ মে রাতে কালিয়াকৈর হারিনাটি এলাকার জনৈক জলিল মিয়ার ভাড়াটিয়া হাসানের ফ্লাটে মাথায় আঘাতসহ দগ্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল নান্টু। পরে জলিল মিয়া রাত একটার দিকে তাকে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ মে বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে মারা যায়।’
এসআই আরও জানায়, মৃত ব্যক্তির মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করা হতে পারে। পরে মৃতদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। নান্টুর শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এই ঘটনায় নান্টুর স্বজনরা আসামিদের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার দায়ের করেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। আসামিদের ধরার জন্য মাঠে কাজ করছে পুলিশ।
মৃত নান্নুর শ্যালক গোলাম জাকারিয়া জানান, তাদের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার গাছিদ্দিয়ার গ্রামে। বর্তমানে সাভার পুলিশ টাউন ভবনের সাততলায় বোনের সঙ্গে থাকতেন। স্ত্রী তানিয়া সুলতানা হ্যাপি এক মেয়ে দৃষ্টিকে নিয়ে কুষ্টিয়াতে থাকে। সাভারের বোন জামাই আনিসুজ্জামান নাজমুলের সঙ্গে গার্মেন্টসেরর ব্যবসা করতো নান্টু।
জাকারিয়া জানান, সাভার আরএস টাওয়ারে তাদের অফিস। গত ৭ মে বিকালে বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশে বের হয় সে। পরে অফিস থেকে আছরের নামাজের জন্য বের হয়। নামাজের পর সাভার রেডিও কলোনির দিকে যায় নান্টু। বাসায় না আসায় রাত আটটার দিকে নান্টুকে ফোন দয় বোন জামাই নাজমুল। তখন বলে যে, সে বাইপাইলে আছে। বাসায় যাবে। এরপর থেকে তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে পাওয়া না যাওয়ায় ৮ মে সাভার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। গতকাল রাতে কালিয়াকৈর থানার মাধ্যমে জানা যায়, শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছে নান্টু। সেখানে গিয়ে তার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়।
জাকারিয়া অভিযোগ করেন, বেশ কিছুদিন ধরে নুরুন্নবী রনি (২৭) হাসান আলী (৩৫) জাহিদ হোসেন (৩০) ও রঞ্জুর (৩৫) সঙ্গে ব্যবসায়িক দ্বন্ধ চলছিল। এরাই নান্টুকে হত্যা করেছে। এবং মৃতদেহ গুম করার উদ্দেশে পুড়িয়ে দিয়েছে। এদে আটক করলে হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
সারাবাংলা/এসএসআর/পিটিএম