‘পেটে ভাত নেই, ঘরে নেই ঈদও’
১৪ মে ২০২১ ২০:২৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বন্ধ থাকা দূরপাল্লার গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিকরা ঈদের দিন সকালে বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় তারা বলেন, এক মাস সাতদিন ধরে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ। আমাদের এক টাকাও আয় নেই। আমাদের পেটে ভাত নেই, ঘরে নেই ঈদও। তাই ঈদের দিন রাস্তায় দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছি।
শুক্রবার (১৪ মে) সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত নগরীর অলঙ্কার মোড়, বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালসহ নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। নগরীর অলঙ্কার মোড়ে বাংলাদেশ আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির যৌথ উদ্যোগে সমাবেশ হয়।
সমাবেশে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পূর্বাঞ্চল কমিটির সভাপতি মৃণাল চৌধুরী বলেন, ‘এক মাস সাত দিন ধরে পরিবহন বন্ধ। আমরা গাড়ি চালাতে পারছি না। আয়-উপার্জন বন্ধ। অথচ সরকার থেকে কোনো ধরনের খাদ্য সহ্যায়তা আমরা পাইনি। পোশাক খাতে প্রণোদনা দেওয়া হয়। পরিবহন খাতে কেন দেওয়া হবে না? সব চলছে, শুধু চলছে না দূরপাল্লার যানবাহন। করোনা কি শুধু যানবাহনে? ঈদের জন্য সবাই কেনাকাটা করল, মার্কেটে ভিড় করল। সেখানে করোনা হবে না? দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ করে সরকার কি মানুষকে বাড়ি যাওয়া আটকাতে পেরেছে? মানুষ কিন্তু ঠিকই যে যেভাবে পেরেছে, গাদাগাদি করে বাড়িতে গেছে। তাহলে শুধু যানবাহন বন্ধ রেখে লাভ কি হচ্ছে, আমরা আসলেই জানি না।’
অবিলম্বে দূরপাল্লার যানবাহন চালুর অনুমতিসহ তিন দফা দাবি সমাবেশ থেকে সরকারের কাছে জানান মৃণাল চৌধুরী।
আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ সাইদুল হক মাস্টারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইমাম শরীফ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক আবুল কাসেম, সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক নেতা হারণ আর রশীদ।
এদিকে নগরীর বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মো. মুছার নেতৃত্বে একই দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়েছে।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম