ঈদে করোনা উপেক্ষা করে লোকারণ্য রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্র
১৪ মে ২০২১ ২২:০০
ঢাকা: ঈদের বিকেলে নগরবাসী আর ঘরবন্দি থাকেনি। শহরের বিনোদন কেন্দ্র বা ফাঁকা স্থানে ঢল নামে নগরবাসীর। শিশু সন্তান, স্বামী-স্ত্রী, প্রেমিক প্রেমিকা, বন্ধু-বান্ধব ও স্বজনদের পদচারণয় মুখর হয়ে উঠে রাজধানীর পর্যটন স্পটগুলো। বিকেলে হাতিরঝিল, সংসদ ভবন এলাকা ও রমনা উদ্যানের আশেপাশে মানুষের প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে। অনেককে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি না মেনেও ঈদ উদযাপন করতে দেখ গেছে। আবার করোনার কারণে বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকলেও সেসবের প্রধান ফটকের সামনে সাধারণ মানুষকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। বিনোদন কেন্দ্রের উদ্দেশ্য এলেও তারা আশেপাশের এলাকায়ই উৎসব মুখর সময় কাটিয়েছেন।
শুক্রবার (১৪ মে) দুপুরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘরের সামনে অনেককেই অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে এই জাদুঘরটি। একই অবস্থা দেখা যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারর সামনে। সেখানেও অপেক্ষায় ছিলেন সাধারণ মানুষ। বাইরে অপেক্ষমাণ অনেককেই ছবি তুলতে দেখা গেছে। দলবেধে আড্ডা দিচ্ছিলেন তারা। রমনা পার্কের সামনেও ছিল অনুরূপ চিত্র। সেখানে ফুটপাতে বসার স্থানে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করছিলেন নগরবাসী।
পরিবার নিয়ে মালিবাগ থেকে রমনা পার্কে এসেছিলেন মালিবাগের বাসিন্দা মাসুদ। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, আগে থেকেই জানি বন্ধ। তারপরেও বাচ্চারা ঘরে থাকতে চাচ্ছিল না। তাই ওদের নিয়ে এসেছি। ঈদের দিন ঘরের বাইরে এসে আনন্দ লাগছে।
মতিঝিল এজিবি কলোনি থেকে এসেছিলেন মো. মশিউর রহমান। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, জানতাম না রমনা পার্ক বন্ধ। এসে দেখি বন্ধ। ঈদের সময় একটু ঘুরতে ভালোই লাগে। ভেতরে ঢুকতে পারলে ভালো লাগতো। কিন্তু কী আর করা। করোনার কারণে ভেতরে ঢুকা যাচ্ছে না।
নভোথিয়েটারের কর্মচারী বাবুল বলেন, করোনার কারণে থিয়েটার বন্ধ রয়েছে। তারপরও মানুষ আসছে। তারা প্রধান ফটকে বসে আড্ডা দিচ্ছেন।
সংসদ ভবন এলাকায় কথা হয় উত্তরার বাসিন্দা শামীম আহমেদের সঙ্গে। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ঈদের দিন বের হতে পেরে ভালোই লাগছে। অনেক বাধা অতিক্রম করেও বেড়াতে পারছি। আইনকে শ্রদ্ধা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
হাতিরঝিলে কথা হয় বংশীবাদক নেপাল গড়ামির সঙ্গে। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, অন্যান্য বারের চেয়েও এবার অনেক ভিড়। বাঁশির বেচাকেনা ভালোই। ঈদ ভালোই কাটিয়েছি।
মগবাজার থেকে হাতিরঝিলে এসেছিলেন মগবাজারের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, সাধারণত ঈদ বাড়িতেই করি। এবার ঢাকায় করেছি। করোনার কারণে যেতে পারিনি। ছেলেমেয়েদের নিয়ে আসছি। এখন তো হাতিরঝিলে সাধারণ সময়ের মতোই ভিড়। মানুষকে তো আর ঘরে বন্দি করে রাখা যায় না। ঈদ বলে কথা।